1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিআফ্রিকা

চাদ-নাইজেরিয়া সীমান্তের কাছে বহু সেনার মৃত্যু

২৯ অক্টোবর ২০২৪

চাদে অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়। বোকো হারাম জড়িত বলে সন্দেহ।

https://p.dw.com/p/4mKe1
চাদের সেনা বাহিনী
চাদে সেনার উপর জঙ্গি হামলাছবি: Denis Sassou Gueipeur/AFP

লেক অঞ্চলে নাইজেরিয়ার সঙ্গে চাদের সীমান্ত আছে। সেখানে চাদের একটি বড় সেনাঘাঁটি আছে। মধ্যরাতে সেই ঘাঁটিতেই জঙ্গিরা আক্রমণ চালায় বলে জানা গেছে। রোববার সারা রাত সেনার সঙ্গে জঙ্গিদের লড়াই হয়েছে। অতর্কিতে আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। ঘটনায় অন্তত ৪০ জন সেনা নিহত হয়েছে বলে চাদের প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে।

বস্তুত, সোমবার সকালে প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস দেবি ঘটনাস্থলে যান। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত খুঁজে বার করার জন্য একটি অপারেশন চালাতে বলেছেন তিনি। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যেই সেই অপারেশন শুরু করে দিয়েছে।

কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা নিয়ে সরকার এখনো পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে কোনো তথ্য দেয়নি। তবে বোকো হারাম এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। বস্তুত, চাদ এবং নাইজেরিয়ার এই সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরেই বোকো হারাম সক্রিয়। এর আগেও তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।

কেন নাইজেরিয়ায় অপহরণ বাড়ছে ?

সূত্র উল্লেখ করে এএফপি সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, বোকো হারামের সদস্যরা এই আক্রমণে জড়িত ছিল। তারা প্রথমে ঘাঁটির উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। সেনাদের হত্যা করে তারা একের পর এক অস্ত্র ছিনতাই করে। বড় গাড়ি ছিনতাই করে। এরপর বেশ কিছু গাড়ি এবং ভারি অস্ত্রে আগুন লাগিয়ে তারা চলে যায়। চাদের এক সেনা সূত্র এএফপি-কে জানিয়েছে, ঘটনায় ওই ঘাঁটির ইউনিট কম্যান্ডারও নিহত হয়েছেন।

লেক অঞ্চলে বোকো হারামের পাশাপাশি ইসলামিক স্টেট অফ ওয়েস্ট আফ্রিকাও সক্রিয়। বোকো হারাম ভেঙেই এই গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া এবং চাদের সীমান্ত অঞ্চলে এই গোষ্ঠী অতি সক্রিয়। সম্প্রতি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, লেক চাদ অঞ্চলে জঙ্গি আক্রমণের জন্য অন্তত দুই লাখ মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়েছেন। আশপাশের দেশে গিয়ে তারা শরণার্থী হয়েছেন।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)