চলুন, ইবিৎসা দ্বীপ থেকে ঘুরে আসি
বালিয়ারিক দ্বীপপুঞ্জের ইবিৎসা দ্বীপে পার্টি করতে প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক আসেন৷ অবকাশ উদযাপনের জন্য সেখানে সাগরের মনোরম দৃশ্য আর নাচ গানের পাশাপাশি নাইটক্লাব ছাড়াও রয়েছে নানা আকর্ষণ৷
অবশেষে ছুটি
ইবিৎসায় বেশিরভাগ পর্যটক আসেন অস্ট্রিয়া বা ব্রিটেন থেকে৷ তবে পর্যটকদের সবচেয়ে প্রিয় থাকার জায়গাটি হলো ৩০০ বছরের পুরনো সাবেক খামার বাড়ি বা ‘পিনকা’৷ আর সুইমিং পুল এবং চোখ জুড়ানো সাগরের মনোরম দৃশ্য তো রয়েইছে৷ তবে এসবের জন্য আপনার পকেটের স্বাস্থ্যও বেশ ভালো থাকতে হবে! বলা চলে, সোনালি-রূপালি পর্দার তারকা বা ধনী ব্যবসায়ীদের জন্যই উপযুক্ত জায়গা এটা৷
জীবন উপভোগ করুন
আপনি যদি চান, শুধু ভাড়া নয় চমৎকার একটি ফ্ল্যাট কিনতেও পারেন এখানে৷ প্যারিসের তারকা স্থপতি জিন নউভেল এই উজ্জ্বল রঙিন বিলাসবহুল আবাসিক পার্ক ‘লাস বোস বিল্ডিং’টি তৈরি করেছেন৷ ৮০ থেকে ৩০০ বর্গমিটারের মধ্যে ১,৯৭৯টি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে সেখানে ৷ অ্যাপার্টমেন্টের দাম ঠিক করা হয়ে থাকে আলোচনার মাধ্যমে৷
নীলের উপর নীল
নিরিবিলি জায়গা, জলের রং যেন নীল আর ফিরোজা মিশে একাকার৷ ইবিৎসা দ্বীপের এই মনোরম দৃশ্য প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটককে টেনে আনে৷ দ্বীপের যত গভীরে যাওয়া যায় ততই নিরিবিলি ও মনোরম ৷ সাগরের জল এতই স্বচ্ছ আর সুন্দর পর্যর্টকদের যা জলকেলি বা সাঁতার কাটায় জানায় আমন্ত্রণ৷
ইবিৎসার নাইট লাইফ
ইবিৎসা দ্বীপের রাত যে অনেক বড় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷ এই দ্বীপের ‘সেন্ট অ্যান্টনি’ নাইট লাইফের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত৷ তাছাড়াও ওল্ট বা পুরনো সিটিতে রয়েছে বার ও রেস্তোরা৷ পর্যটকদের রাতের আনন্দের শুরুটা হয় এখানে ঠিকই কিন্তু তারপর তারা চলে যান যেখানে খুশি৷
যত ইচ্ছে নাচুন
১৯৯০ এর দশকে আন্তর্জাতিক ক্লাব ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপটি আবিষ্কার করে৷ পরে সেখানে প্রচুর নাইটক্লাব বা ডিসকো হয়েছে, যেখানে আপনি সারারাত মনের আনন্দে নাচগান করতে পারেন৷ এই বিশ্বের সেরা ডিজেগুলো হয় এখানে৷ স্ভেন ব্যাথ প্রতিবছর গ্রীষ্মেই ইবিৎসার নিয়মিত অতিথি৷
বিশ্ব ঐতিহ্য ডাল্ট ভিলা
ইবিৎসার পুরনো শহর - ডাল্ট ভিলা, যা ১৯৯৯ সাল থেকে বিশ্ব ঐতিহ্যে স্থান পেয়েছে৷ ভূমধ্যসাগরীয় সংরক্ষিত এলাকায় সবচেয়ে সুন্দর ভিলা৷ ওপর থেকে শহরের চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করা যায়৷ এই শহরের পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ক্যাথিড্রাল এবং ক্লোসটার সান্টো ডোমিঙ্গো৷