ঘূর্ণিঝড় ‘লায়লা’ আছড়ে পড়লো অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে
২০ মে ২০১০প্রবল বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড় ‘লায়লা' অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলে ঘন্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার গতিতে আছড়ে পড়লে, সেখানকার স্বাভাবিক জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়ে৷ আবহবিদদের মতে, এর তীব্রতা কিছুটা কমলেও দক্ষিণী রাজ্য তামিলনাড়ুতে এখনও উচ্চ সতর্কতা৷
গতকাল থেকে সেখানে চলছে অবিরাম ঝড়বৃষ্টি৷ তাই ট্রেন, বিমান, বাস ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত৷ দক্ষিণ রেলপথের বহু ট্রেন বাতিল করতে হয়, না হয় ঘুরিয়ে দেয়া হয়৷ উপকূলবর্তি জেলাগুলিতে বিদ্যুতের খাম্বা উপড়ে গেলে দেখা দেয় বিদ্যুত সঙ্কট৷ নীচু এলাকাগুলি থেকে প্রায় পঞ্চাশ হাজার লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা হয় প্রায় আট ফুট৷
অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন৷ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তিনি এবং কেন্দ্রের জোট সরকারের চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে আ্যান্টনি বলেন, নৌ ও সেনা বাহিনী সব রকম সাহায্য দিতে তৈরি৷
ঘূর্ণিঝড় লায়লা সম্পর্কে কলকাতা আবহ বিভাগের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ ডয়চে ভেলেকে বলেন, এখন পর্যন্ত যা অবস্থা তাতে লায়লা কিছুটা শক্তি হারিয়ে ঊত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ওড়িষা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের দিকে যাবে৷ তীব্রতা কমে যাবার ফলে পশ্চিমবঙ্গের জন্য ভয়ের কিছু নেই৷ তবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি হবে৷ বেশি ক্ষতির আশঙ্কা অন্ধ্রপ্রদেশে৷
অনুমান বাংলাদেশের উপকূলভাগেও হয়ত এর কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে৷ স্বাভাবিক বর্ষার ওপর এর প্রভাব কী হতে পারে, এর উত্তরে তিনি বলেন, প্রথমতঃ বর্ষা আসতে দেরি আছে৷ বর্ষার গতিপ্রকৃতি সব সময় পালটাতে পারে৷ আবহ বিজ্ঞানে কোন সিস্টেমই ওয়ান ইজ টু ওয়ান রিলেশন হয় না৷ কাজেই দুটোর মধ্যে তুলনা টানা যায়না৷ গত বছর আয়লায় বিঘ্নিত হয়েছিল বর্ষা৷ কারণ তখন বর্ষা স্থলভাগে ঢুকে পড়েছিল৷ প্রতি বছরই এই সময় বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন হয়, এটাই স্বাভাবিক নিয়ম৷ তবে প্রকৃতি সম্পর্কে কেউ শেষ কথা বলতে পারে না৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ