1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘ঘরের বাইরে বের হচ্ছি না’

৩০ জানুয়ারি ২০২০

চীনের উহান শহর থেকে টেলিফোনে ডয়চে ভেলে বাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন সেখানে অধ্যয়নরত মো. আবির শাহীদ চৌধুরী৷ তিনি জানান, খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের হচ্ছেন না কেউ৷

https://p.dw.com/p/3X3SO
China Abir Shahid Chowdhury in Wuhan
ছবি: Privat

তবে কোনো বাংলাদেশির করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার খবর জানেন না বলে জানিয়ছেন তিনি৷ ‘‘এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে শুনিনি৷ হলে অন্তত গ্রুপের মাধ্যমে জানতে পারতাম,'' টেলিফোনে ডয়চে ভেলেকে বলেন এই শিক্ষার্থী৷

আবির বলেন, সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্ম ‘উইচ্যাট'-এর একটি গ্রুপে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যু্ক্ত আছেন৷ সেই গ্রুপে চীনে বাংলাদেশের দূতাবাসের কোনো কোনো কর্মকর্তাও আছেন৷

তবে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা আতঙ্ক আছে বলে জানান তিনি৷ ‘‘অনেক খবরে যেভাবে আতঙ্কের কথা বলা হচ্ছে সেভাবে হয়তো আতঙ্কিত হবার কিছু নেই৷ তবে আতঙ্ক তো কিছুটা আছেই৷ বিশেষ করে যারা পরিবার নিয়ে থাকেন এবং পরিবারে শিশু আছে, তাদের ঝুঁকিও বেশি, আতঙ্কও বেশি৷''

তাদের দেশে ফেরত আনার ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, দূতাবাস চেষ্টা করছে৷

‘‘অ্যাম্বেসি স্টুডেনটদের তালিকা করে নিয়েছে৷ এদের মধ্যে যারা ফিরে যেতে চান তাদেরও তালিকা করা হয়েছে,'' জানান তিনি৷ আবির বলেন, ‘‘দূতাবাস সাধ্যমত চেষ্টা করছে৷ তবে শুধু তারা চাইলে হবে না৷ চাইনিজ সরকারকেও চাইতে হবে৷ দুপক্ষের সম্মতিতে হতে হবে৷ তাই সময় লাগতেও পারে৷''

মো. আবির শাহীদ চৌধুরী

তাই কবে দেশে ফেরত যাওয়া যাবে তা জানতে পারেননি তিনি৷

উহান শহর পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে আবির বলেন, ২২ জানুয়ারি থেকে কেউ এখানে আসতে বা এখান থেকে যেতে পারছে না৷ স্থানীয়ভাবে একটি বিশেষ হটলাইনের ব্যবস্থা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘একটি বিষয়ে আমি যোগাযোগ করেছিলাম৷ তখন ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে আমাকে হটলাইনে জানানো হয়েছে, তোমার অ্যাম্বেসি থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে৷ ট্রান্সপোর্টেশন তোমাদের ম্যানেজ করতে হবে৷''

তবে খাবার সংকট বা ভুতুড়ে পরিবেশের বিষয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা পুরোপুরি সঠিক নয়৷

‘‘চংপাই নামের একটি সুপারশপ খোলা রাখা হয়েছে সরকারি নির্দেশে৷ আমার এলাকায় আরো দু'একটি খোলা আছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যান্টিনগুলো খোলা রাখা হয়েছে৷ সেখানে কোথাও দু'বেলা, কোথাও তিন বেলা খাবার পাওয়া যাচ্ছে,'' আবির ব্যাখা করেন৷

শহরের পরিবহণব্যবস্থা বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়ে আবির বলেন, তবে কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য বিশেষ ট্যাক্সি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷

আবির ২০১৪ সেপ্টেম্বর থেকে চীনে রয়েছেন৷ উহানে চায়না ইউনিভার্সিটি অফ জিওসায়েন্স পিএইচডি করছেন তিনি৷

‘‘উহানকে সিটি অফ এডুকেশন বলতে পারেন৷ আনুমানিক পাঁচশ' বাংলাদেশি স্টুডেন্ট এখানে আছে৷ তারা ব্যাচলর, মাস্টার্স, পিএইচডি, পোস্টডক করছেন,'' বলেন আবির৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য