‘গ্লান্ৎসবিল্ড': চকমকে ছবি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ঊনবিংশ শতাব্দীর সব ছবি আর নকশা – স্টেন্সিল করা কিংবা প্রেস করা, আর বিশেষ করে বড়দিনের সময় অভ্রের গুঁড়ো মাখানো এই সব ‘গ্লান্ৎসবিল্ড' আজও সারা দুনিয়ায় বিক্রি হয়৷
‘গ্লান্ৎসবিল্ড' বিক্রেতা রাল্ফ-টর্স্টেন ফ্রাইহোফ বলেন, ‘‘বিশেষ করে আজকের দিনে আমরা যে দুনিয়ায় থাকি, তার সঙ্গে এর অনেক তফাৎ৷ সহিংসতায় ভরা পৃথিবী, ক্রমেই আরো বেশি জোরে, আরো বেশি উঁচু, আরো রঙীন – আমাদের ছবিগুলো কিন্তু মানুষের মনে ঠিক তার উল্টো প্রভাব সৃষ্টি করে৷''
রাল্ফ-টর্স্টেন ফ্রাইহোফ আর তাঁর বোন আনে-রুথ দু'জনে মিলে ‘ইএফ গ্লান্ৎসবিল্ডার' কোম্পানিটি চালান৷ বহু দশক ধরে তিনি পুরনো পোয়েট্রি অ্যালবাম আর বই সংগ্রহ করে আসছেন৷
পোয়েট্রি অ্যালবামে অনেক সময় নানা ছবি কেটে জোড়া দেওয়া সব ‘কোলাজ' পাওয়া যায়৷
রাল্ফ-টর্স্টেন ফ্রাইহোফ জানালেন, ‘‘না, আমার নিজের কখনো পোয়েট্রি অ্যালবাম ছিল না৷ কিন্তু আমি ছেলেবেলা থেকেই এ ধরনের ছবি সংগ্রহ করতে শুরু করি৷ শুধু জার্মানিতে নয়, ফ্রান্সের ফ্লি মার্কেটে গিয়ে এইসব চকমকে ছবি সংগ্রহ করেছি আমি, যা আমার আজকের কলেকশানের ভিত্তি৷''
তাঁর সংগ্রহের নানা ছবি ও নকশার অনুকরণ করে তাঁর কোম্পানির স্ক্র্যাপ ছবি তৈরি করা হয়৷ একটি বিশেষ কোম্পানি ঐতিহাসিক ছবিগুলিকে তাদের ইম্প্রিন্ট সহ স্ক্যান করে৷ পরে রাল্ফ-টর্স্টেন একক ছবিগুলো বেছে বেছে একটি নতুন পিকচার শিট তৈরি করেন৷
রাল্ফ-টর্স্টেন ফ্রাইহোফ শোনালেন, ‘‘মাঝেমধ্যে এমনও হয় যে, বিশেষ করে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা তাঁদের পোয়েট্রি অ্যালবামগুলো পাঠান, সাথে চিঠিতে লেখা থাকে, ‘‘আশা করি আপনি এগুলো যত্নে রাখবেন, তাহলে এগুলো অতীতের সাক্ষী হিসেবে বেঁচে থাকবে৷''
প্রতিটি নতুন পিকচার শিটে অনেক হাতের কাজ থাকে৷ আর ছবিগুলো মানুষের চোখে আনন্দের ঝিলিক এনে দেয় বলেই বোধহয় তাদের নাম ‘গ্লানৎসবিল্ড' বা চকমকে ছবি৷
প্রতিবেদন: আক্সেল প্রিমাভেসি/এসি
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী