গোলাম আযম
১৩ মে ২০১২অভিযোগ
গোলাম আযমকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল আত্মসমর্পর্ণের নিদেশ দেন ৯ই জানুয়ারি৷ ১১ই জানুয়ারি তিনি আত্মসমর্পণ করলে তাকে জামিন না দিয়ে কারগারে পাঠানো হয়৷ রোবাবার গোলাম আযমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইবুন্যাল৷ বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম আদালতে মোট ১৯১ পৃষ্ঠার অভিযোগ পড়ে শোনান৷ আদালত একাত্তরে মানবতা বিরোধী পাঁচ ধরণের ১৬২টি অভিযোগের মধ্যে ১৬১টির অভিযোগ গঠন করেন৷ একাত্তরে গণহত্যার পরিকল্পনা, উস্কানি, হত্যা, নির্যাতন , প্ররোচনা ও অপরাধীদের সংঘবদ্ধ করা এই পাঁচ ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে৷ আগামি ৫ই জুন স্বাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হবে, যা সাংবাদিকদের জানান প্রসিকউশনের সদস্য এ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম৷
আত্মপক্ষ সমর্থন
গোলাম আযমের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক দাবী করেন গোলাম আযম একাত্তরে এধরণের কোন অপরাধ করেননি৷ তিনি পাকিস্তানের সমর্থক ছিলেন৷ পাকিস্তান সমর্থন করা কোনভাবেই যুদ্ধাপরাধ হতে পারেনা৷ তিনি বলেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন আইন সম্মত হয়নি৷ অভিযোগ গঠনের আগে আদালত গোলাম আযমকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়৷ গোলাম আযম আদালতে বলেন, তিনি একাত্তরে কোন মানবতা বিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ৷ দালাল আইনের আওতায় তিনি যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ থেকে ক্ষমা পেয়েছেন৷ ২০০১ সালের আগে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ ছিলনা৷ এরপর তিনি ও তার দল বিএনিপ'র সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচন করলে তিনি রাজনৈতিক বৈরিতার শিকার হন৷
উল্লেখ্য গোলাম আযম ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান৷ সাত বছর পর ১৯৭৮ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনামলে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং জামায়াতের হাল ধরেন৷ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামির আমির ছিলেন৷ একাত্তরের সময় জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম