গোলাপ সোমবারের কার্নিভাল
জার্মানির বহু অঞ্চলেই ‘রোজেন মোনটাগ’ বা গোলাপি সোমবার পালিত হয়৷ ক্যাথলিক কার্নিভালের যা অন্যতম বৈশিষ্ট্য৷ তবে রাইনল্যান্ডে এই উৎসবের জৌলুস অন্যরকম৷ বিশেষত কোলন এবং বন শহরে৷ বন কার্নিভালের কিছু মুহূর্ত ধরা রইল ক্যামেরায়৷
রঙিন সাজের দিন
কার্নিভাল মানেই নানা রঙের পোশাক৷ এই দিন বনের মানুষেরা আজগুবি সব পোশাক পরে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন৷ পরিচিত মানুষেরাও নিজেদের আর চিনতে পারেন না৷
ভাল্লুক থেকে নভশ্চর
কেউ ভালুকের পোশাকে তো কেউ নভশ্চর৷ কেউ বা কিম্ভূত কিমাকার৷ কেউ বা সাজে জোকার৷ কার্নিভাল মানে মজার মজার সাজপোশাকে উত্তাল ফুর্তি৷ সঙ্গে বিয়ার পান৷
প্যারেড এবং চকোলেট
বিভিন্ন সংস্থা তাদের ট্যাবলো নিয়ে চলে আসে সিটি সেন্টারে৷ সেখানেই হয় কার্নিভাল৷ রাস্তার দু’দিকে সকলে দাঁড়িয়ে থাকেন৷ আর ট্যাবলো থেকে দেওয়া হয় রাশি রাশি চকোলেট৷
ব্যান্ড মাস্টার
প্রতিটি ট্যাবলোর সঙ্গে থাকে ব্যান্ড৷ ছোট থেকে বৃদ্ধ সকলেই ব্যান্ডের তালে তালে প্যারেডে অংশ নেন৷ পাশে দাঁড়ানো দর্শকরাও গেয়ে ওঠেন গান৷
সাইবেরিয়ার ঘোড়া
যে সে ঘোড়া নয়, রীতিমতো সাইবেরিয়ার৷ কার্নিভালের প্যারেডে দেখতে পাওয়া যায় নানা ধরনের ঘোড়া৷ কেউ টানছে গাড়ি৷ কারোর উপর সওয়ার রাজপোশাকে সজ্জিত মানুষ৷
বেলুনওয়ালা
কার্নিভাল মানেই বেলুনের মেলা৷ বেলুনের সম্ভার নিয়ে সেন্টারে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক বেলুনওয়ালা৷
মানুষের ভিড়
গোটা সেন্টার জুড়েই ছিল মানুষের ভিড়৷ সকলের মুখে একটাই শব্দ– ‘আলাফ’৷ অর্থাৎ, শুভ ভাগ্য৷ সকলেরই দু’হাত তোলা৷ ‘আলাফ’ শুনলেই ট্যাবলো থেকে ছোড়া হয় চকোলেট৷
চকোলেট কুড়ুনি
ছোট বড় সকলের হাতেই ব্যাগ৷ সকলেই রাস্তা থেকে চকোলেট কুড়িয়ে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন ব্যাগে৷
পাখি চকোলেটও খায়
গোলাপের সোমবারে পাখির সাজেও চলে এসেছিলেন কেউ কেউ৷ ছোটদের মতো চকোলেট যুদ্ধে নেমে পড়েছিলেন বড়রাও৷
রন পা
বিশাল বিশাল লাঠির ওপর চড়ে কার্নিভালে খেলা দেখিয়েছেন কুশলীরা৷ বিচিত্র তাঁদের পোশাক৷
আরও রন পা
নানা ধরনের রন পা পরে কার্নিভালে হাজির হয়েছিলেন অনেকে৷ কেউ কেউ রন পা পরেই প্যারেড করে দেখিয়েছেন৷
ছবির ছবি
মোবাইলে কার্নিভালের ছবি ধরে রাখলেন অনেকেই৷ স্মৃতির পাতায় সুখের দিন ধরে রাখার মতো৷
রোজেন মোনটাগ
কার্নিভালে এসে পুলিশকেও ভালোবাসা জানিয়ে গিয়েছেন অনেকে৷ ধরিয়ে দিয়েছেন গোলাপ ফুল৷ নাকের ডগায় এঁকে দিয়েছেন কার্নিভালের চিহ্ন৷