1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গান গাওয়ার সময় আরো দ্রুত করোনা ছড়ায়

১২ অক্টোবর ২০২০

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মাস্ক পরা বা ব্যবধান বজায় রাখায় যারা বিশ্বাস করেন না, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার মাধ্যমে গবেষকরা তাদের দেখিয়ে দিতে পারেন যে, আমাদের মুখ থেকে ড্রপলেট কতদূর চলে যেতে পারে৷

https://p.dw.com/p/3jmM8
Österreich Wien | Landtags- und Gemeinderatswahl 2020 | Wahllokal
ছবি: Ronald Zak/AP Photo/picture-alliance

মিউনিখের এক স্টুডিওতে দুটি পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷ গান গাওয়ার সময় মুখ থেকে যে অদৃশ্য আর্দ্র ড্রপলেট বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, মাটিয়াস এশটারনাখ ও স্টেফান ক্নিসবুর্গেস সেগুলি পরীক্ষা করেছেন৷ বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল, বড় বিন্দুর পাশাপাশি ক্ষুদ্র এয়ারোসোলের মধ্যেও করোনা ভাইরাস থাকতে পারে৷

এয়ারলাঙেন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ড. স্টেফান ক্নিসবুর্গেস বড় আকারের অদৃশ্য ড্রপলেট বা বিন্দু পরীক্ষা করেছেন৷ সেগুলি দৃশ্যমান করে তুলতে গায়কদের লেজারের এক স্তরের দিকে মুখ করে গান গাইতে বলা হয়েছে৷ ক্নিসবুর্গেস বলেন, ‘‘যে কোনো দৃশ্যমান কণা লেজারের এই স্তরে প্রবেশ করবে৷ এমনকি মুখ থেকে নির্গত ড্রপলেটও লেজার রশ্মি থেকে ছিটকে বেরোবে৷ আমরা নির্দিষ্ট জায়গায় বসানো হাইস্পিড ক্যামেরার সাহায্যে সেগুলির ছবি তুলে কণার গতিপথ অনুসরণ করবো৷''

বড় বিন্দুর তুলনায় এয়ারোসোল আরও ক্ষুদ্র৷ তবে নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে ই-সিগারেটের তরল পদার্থ গ্রহণ করলে, সেগুলিও দৃশ্যমান করে তোলা যায়৷ মুখ থেকে যে ধোঁয়া ছাড়া হয়, তা এয়ারোসোল দিয়ে তৈরি৷ সেই ধোঁয়া চোখে দেখা যায়৷ গান গাওয়ার সময়েও সেটা দৃশ্যমান হয়৷ মাটিয়াস এশটারনাখ নিজে তা যাচাই করে দেখেছেন৷

গান গাওয়া, কথা বলা বা নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসের সময়ে মুখ থেকে দুই ধরনের তরল বিন্দু বেরিয়ে আসে৷ কথা বলার সময় বড় বিন্দুগুলি প্রায় দেড় মিটার দূরে মাটিতে পড়েযায়৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, গানের সময়েও কি তেমনটা ঘটে?

আরও অনেক ক্ষুদ্র এয়ারোসোলের আচরণ একেবারে ভিন্ন৷ সেগুলি এতই হালকা যে বাতাসের মধ্যে ভেসে বেড়াতে পারে৷ গবেষকরা জানতে চেয়েছিলেন, গান গাওয়ার সময়ে এয়ারোসোল ঠিক কী করে৷ মিউনিখের এলএমইউ হাসপাতালের মাটিয়াস এশটারনাখ বলেন, ‘‘এই কণা কোথায় যায়? সেটি কীভাবে প্রসারিত হয়? আমার সংক্রমণ ঘটলে আমার প্রতিবেশী বা বাকি দর্শকের জন্য আমি কি ঝুঁকির কারণ হতে পারি? আমরা আজ সেই সব প্রশ্নের জবাব দিতে চাই৷

পরীক্ষার জন্য সব প্রস্তুতি শেষ৷ পরের দিন দশ জন পেশাদার সংগীতশিল্পী দুটি হলে দশটি ভিন্ন পরীক্ষায় অংশ নেবেন৷ মাটিয়াস এশটারনাখ বলেন, ‘‘আমরা যে গ্যাস গ্রহণ করেছি, ঘরের মধ্যে তা সত্যি কতদূর চলে যেতে পারে, তা আমাকে সত্যি অবাক করছে৷''

তরল পদার্থ ধূমপান করে গান গাওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়৷ কয়েকবার অনুশীলনের পর পরীক্ষা শুরু হচ্ছে৷ প্রতিটি সাদা ও কালো দাগ দশ সেন্টিমিটারের সমান৷ এভাবে এয়ারোসোলের ধোঁয়ার বিস্তার পরিমাপ করা সম্ভব৷

ডোরোটে রেঙেলিং/এসবি