গাদ্দাফি বাহিনীর সাফল্য অব্যাহত, বিদ্রোহীদের স্বীকৃতি দিল ফ্রান্স
১০ মার্চ ২০১১সর্বশেষ পরিস্থিতি
লিবিয়ায় এখন কার্যত গৃহযুদ্ধ চলছে৷ একদিকে গাদ্দাফির বাহিনী, অন্যদিকে বিদ্রোহীদের সম্মিলিত লোকবল৷ গাদ্দাফির বাহিনী বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার উপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে পূর্ণ সামরিক শক্তি প্রয়োগ করছে৷ বৃহস্পতিবার তারা কিছুটা সাফল্যও পেয়েছে৷ রাস লানুফের পর ব্রেগা শহরের উপর সামরিক বিমান বেশ কয়েকটি বোমা ফেলেছে৷ রাস লানুফের দিকে এগিয়ে চলেছে সাঁজোয়া গাড়ি৷ বুধবার রাতেই গাদ্দাফির বাহিনী জাউয়িয়া শহরে পুনর্দখল করেছে৷
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো লিবিয়ার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে৷ সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহ শীর্ষ নেতারা বৃহস্পতি ও শুক্রবার লিবিয়ার সংকট সম্পর্কে আলোচনা চালাচ্ছেন৷ সামরিক অভিযান, রাজনৈতিক পদক্ষেপ, মানবিক সাহায্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷ ফ্রান্স লিবিয়ার কিছু নির্দিষ্ট স্থাপনার উপর ন্যাটোর বিমান হামলার প্রস্তাব দিতে চলেছে৷ সার্কোজির সরকার গাদ্দাফির উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে বিরোধী লিবীয় জাতীয় পরিষদকে সেদেশের জনগণের বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে৷ ফ্রান্স এমনকি বেনগাজিতে এক রাষ্ট্রদূত পাঠানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিদ্রোহীরাও প্যারিসে তাদের রাষ্ট্রদূত পাঠাচ্ছে৷ জবাবে লিবিয়ার সরকার ফ্রান্সের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে৷ লিবিয়ার বিরোধী পরিষদ বাকি দেশগুলিকেও ফ্রান্সের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে৷ জার্মানির অর্থনীতি মন্ত্রণালয় সেদেশে লিবীয় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগ দপ্তরের সব অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ইটালি ইউরোপীয় অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করছে৷
মানবিক পরিস্থিতি
লাগাতার সংঘর্ষের ফলে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ মাত্রা জানা যাচ্ছে না৷ দেশের পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকার হাসপাতালগুলিতে আহতদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে৷ আন্তর্জাতিক রেড ক্রস দুই পক্ষের উদ্দেশ্যে নিরীহ মানুষ বা তাদের অবস্থানের উপর হামলা বন্ধ করার ডাক দিয়েছে৷ আন্তর্জাতিক সমাজের উদ্দেশ্যে লিবিয়ার মানুষের জন্য সাহায্য প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছে রেড ক্রস৷ জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় রশিদ খালিকভ গাদ্দাফি নিয়ন্ত্রিত পশ্চিমাঞ্চলেও ত্রাণসাহায্য প্রবেশের অনুমতি চেয়েছেন৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা