1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাদ্দাফির সমর্থকদের হামলায় নিহত ১২ বিদ্রোহী

১২ সেপ্টেম্বর ২০১১

গাদ্দাফি লুকিয়ে আছেন ঠিকই, কিন্তু তাঁর সমর্থকরা এখনো প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন৷ সোমবার এমনই এক ঘটনায় গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলায় ১২ বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে৷

https://p.dw.com/p/12XRb
গাদ্দাফির এই ছেলে পালিয়ে নাইজারে চলে গেছেনছবি: AP

গাদ্দাফি সমর্থকদের হামলা

অনেক দিন পর আবার তাদের আক্রমণের খবর পাওয়া গেল৷ গাদ্দাফি পালিয়ে যাওয়ায় অনেকে মনে করেছিলেন হয়তো লিবিয়ায় গাদ্দাফির যুগ শেষ৷ কিন্তু সোমবারের ঘটনাটি আবার সবাইকে কিছুটা নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলেছে৷ ঘটনাটা হচ্ছে, রাস লানুফ শহরের একটি তেল শোধনাগারে হামলা করেছিল গাদ্দাফির সমর্থকরা৷ এতে ১২ জন বিদ্রোহী মারা গেছে৷ এনটিসির সামরিক মুখপাত্র বলছেন, গাদ্দাফির সমর্থকরা পাঁচটি গাড়িতে এসে হামলা করে৷ তবে তারা শোধনাগারে ঢুকতে পারেনি৷

অন্য শহরেও গাদ্দাফি সমর্থকদের প্রতিরোধ

গাদ্দাফির নিয়ন্ত্রণে থাকা অন্য শহরগুলোতেও বেশ প্রতিরোধ গড়ে তুলছে তাঁর সমর্থকরা৷ বিশেষ করে বনি ওয়ালিদ শহরে বিদ্রোহীরা বেশ প্রতিরোধের মুখে পড়েছে৷ আগে যেমনটা বলা হচ্ছিল যে, একদিনের মধ্যেই শহরটার নিয়ন্ত্রণ নেয়া যাবে সেখানে দেখা যাচ্ছে এখনো যুদ্ধ চলছে৷ রবিবার সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে৷ ভয়ে শহরবাসীরা পালিয়ে যাচ্ছেন৷ এদিকে গাদ্দাফির জন্মভূমি সিরতে'তেও বিদ্রোহীরা ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে পড়ছেন৷ উল্লেখ্য, বনি ওয়ালিদ আর সিরতে ছাড়াও সাভা আর ওয়াদ্দেন শহরও গাদ্দাফির সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে৷

Libyen Angriff auf Bani Walid festgefahren Kontrollpunkt
বনি ওয়ালিদে আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্রোহীরাছবি: dapd

গাদ্দাফির ছেলে নাইজারে

গাদ্দাফির তৃতীয় ছেলে সাদি গাদ্দাফি নাইজারে চলে গেছেন৷ নাইজারের বিচারমন্ত্রী মারু আমাদো স্বয়ং জানিয়েছেন এই কথা৷ সাদি হলো সেই ছেলে গতমাসে যিনি বলেছিলেন যে, তাঁর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে যদি লিবিয়ায় রক্তপাত বন্ধ হয় তাহলে তিনি সেটা করতে রাজি আছেন৷

ন্যাটো

লিবিয়ায় এখনো অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ন্যাটো৷ সেটা এখনই বন্ধ করা উচিত হবে বলে মনে করেন না মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন৷ সোমবার লন্ডনে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান৷ তিনি বলেন, লিবিয়ার সাধারণ মানুষ এখন নিরাপদ নয়৷ গাদ্দাফির সমর্থকরাও এখনো জনগণের জন্য হুমকিস্বরূপ৷ ন্যাটো মহাসচিব বলেন, গাদ্দাফি কোথায় আছেন তা তিনি জানেন না৷ যুদ্ধ শেষে লিবিয়া গঠনে ন্যাটো কোনো ভূমিকা রাখবে কিনা এই প্রশ্নের জবাবে রাসমুসেন বলেন, রাখতে পারে, কিন্তু সেটা নেতৃস্থানীয় কিছু নয়৷ তিনি বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের প্রধান ভূমিকা রাখা উচিত৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য