1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইসরায়েল

গাজায় ১২২ জন সাংবাদিক নিহত

২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত এক সংস্থার বিশেষজ্ঞ এই তথ্য দিয়েছেন। গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ২৭ হাজার।

https://p.dw.com/p/4bwne
নিহত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক হামজা আল-দাহদুর মৃতদেহের উপর তার প্রেস জ্যাকেট
গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের অভিযান শুরু হওয়ার পর অন্তত ১২২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জাতিসংঘের এক বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করেনছবি: IBRAHEEM ABU MUSTAFA/REUTERS

জাতিসংঘের ওই বিশেষজ্ঞ আশঙ্কা প্রকাশ করে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, গাজা স্ট্রিপে ইসরায়েলের অভিযান শুরু হওয়ার পর অন্তত ১২২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আহত আরো অনেক।

সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল পাঁচজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ করেছে। জাতিসংঘের হয়ে তারা কথা বলবেন না। স্বাধীনভাবে তারা তাদের রিপোর্ট দেবেন। ওই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ৭ অক্টোবর হামলার সময় হামাসও চারজন ইসরায়েলি সাংবাদিককে হত্যা করেছে। অন্যদিকে লেবাননে শেলিংয়ের সময় ইসরায়েল লেবাননের দিকে থাকা তিনজন সাংবাদিককে হত্যা করেছে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপে সাংবাদিকদের প্রেস লেখা হেলমেট, জ্যাকেট পরতে বলা হয়েছিল। তাদের জন্য প্রেস লেখা বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছিল। জেনে-বুঝে সাংবাদিকদের উপর হামলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ইচ্ছাকৃতভাবে ইসরায়েলের সেনা একাজ করেছে, যাতে সাংবাদিকেরা সমস্ত খবর এবং ছবি প্রকাশ করতে না পারেন। সাংবাদিকদের উপর এভাবে জেনেবুঝে হামলা চালানো 'যুদ্ধাপরাধ' বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

গাজায় ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইসরায়েলেরসেনার সঙ্গে যোগ না দিলে বাইরে থেকে কোনো সাংবাদিককে গাজা স্ট্রিপের ভিতরে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। কেবলমাত্র গাজার ভিতরে থাকা ব্যক্তিরাই সংবাদ পাঠাতে পারছেন বাইরে। এ নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।

২৭ হাজার মৃত

এদিকে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত চার মাসে গাজায় সর্বমোট ২৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বহু নারী ও শিশু আছে। ইসরায়েলের বাহিনীর হামলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ১৩৯। গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ১১৯ জন। আহত হয়েছেন ১৯০ জন। তবে এই তথ্যের মধ্যে বেসামরিক মানুষ এবং সন্ত্রাসীর মধ্যে কোনো ভাগ করা হয়নি। তাদের দেওয়া তথ্য ডিডাব্লিউ খতিয়ে দেখতে পারেনি। তবে জাতিসংঘও এই তথ্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)