1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় নিষিদ্ধ হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহারের কথা স্বীকার করলো ইসরায়েল

১ আগস্ট ২০০৯

ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ গাজা যুদ্ধ চলাকালে নিষিদ্ধ হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহার করার কথা প্রথমবারের মত স্বীকার করেছে৷ ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই স্বীকারোক্তি করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/J1L2
ছবি: AP/DW-Grafik

গত আগস্টে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চালানোর সময় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ওঠে৷ এই অভিযোগের অন্যতম ছিল নিষিদ্ধ পদার্থ হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহার করেছে ইসরায়েলী সেনারা৷ তবে শুরু থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ৷ অবশেষে বৃহস্পতিবার এক বিস্তারিত প্রতিবেদনে এই বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে ইসরায়েল সরকার৷ ১৬৩ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদনের শিরোনাম 'দি অপারেশন ইন গাজা, ফ্যাকচুয়াল এন্ড লিগ্যাল এ্যাসপেক্ট'৷ তবে হোয়াইট ফসফরাস ব্যবহারের ব্যপারে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হচ্ছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের লংঘন নয়৷ এছাড়া গাজায় আগ্রাসন চলাকালে ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে ওঠা ১০০টি অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে এমন তথ্যও জানানো হয়েছে৷ গাজায় আগ্রাসন চালানো নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সামরিক অভিযান চালানোটা তাদের অধিকার এবং এটা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছিল৷ এর জন্য দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলাকেই কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় প্রায় ১৪০০ ব্যক্তির প্রাণহানি ঘটে৷

Israelische Soldaten mit Munition
গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছেছবি: picture-alliance / dpa


ফাতাহ-হামাস পুরনো দ্বন্দ্ব

এদিকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের এমন স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্য শোনা গেলেও প্যালেস্টাইনের পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি৷ বরং নিজেদের মধ্যে পুরনো বিরোধ নিয়েই মেতে আছে ফাতাহ এবং হামাস৷ আগামী মঙ্গলবার ফাতাহ পার্টির দলীয় সম্মেলন হতে যাচ্ছে যাতে অংশ নেবেন দলের সংসদ সদস্যরা৷ কিন্তু ফাতাহ অভিযোগ করছে হামাসের বাধার কারণে গাজা থেকে তাদের দলীয় নেতারা পশ্চিম তীরে আসতে পারছে না৷ অপরদিকে হামাসের অভিযোগ, পশ্চিম তীরে ফাতাহ নিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনী তাদের প্রায় ৯০০ কর্মীকে আটকে রেখেছে৷ তাদের মুক্তি না দিলে তারা ফাতাহর নেতাদের গাজা ছাড়তে দেবে না৷ দুই দলের এই রেষারেষিতে হুমকির মুখে পড়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে সংলাপের ভবিষ্যত৷ আগামী জানুয়ারিতে যে নির্বাচন হবে তাতে ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে উভয় দলকে একটি সমোঝাতায় আনার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে মিশর৷ আগামী ২৫ আগস্ট কায়রোতে এই বৈঠক হওয়ার কথা৷ কিন্তু শুক্রবার হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া জানিয়ে দিয়েছেন যে পশ্চিম তীরে রাজনৈতিক গ্রেফতার নিপীড়ণ বন্ধ না হলে তাঁরা আলোচনায় যোগ নাও দিতে পারেন৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়