1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা অব্যাহত

হাফসা হোসাইন১ জানুয়ারি ২০০৯

৬ষ্ঠ দিনের মতো গাজায় বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল৷ বৃহস্পতিবার গাজায় পার্লামেন্ট ভবন, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/GQTY
জ্বলছে গাজাছবি: AP

গাজায় এবার স্থল পথে হামলারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলী প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট৷ এদিকে উত্তেজনা নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে আন্তর্জাতিক মহল৷

ইসরায়েলী বিমান হামলায় গাজা এখন ধ্বংসস্তুপ৷ বিমান হামলার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নৌপথে হামলাও৷ পার্লামেন্ট ভবন, বিচার এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং হামাসের প্রধান সরকারি কমপ্লেক্সে ছোঁড়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র৷ গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া উদ্বাস্তু শিবিরে নিহত হয়েছেন হামাসের একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা৷ এছাড়া তাঁর পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যও হতাহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে৷ ইসরায়েলী হামলার জবাবে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে ফিলিস্তিনী জঙ্গিরা৷ ইসরায়েল বলছে, হামাসের রকেট নিক্ষেপের স্থান এবং অস্ত্র পাচারের জন্য ব্যবহৃত সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করেও হামলা চালানো হচ্ছে৷ ফিলিস্তিনীরা বলছে, বেসামরিক বিভিন্ন স্থাপনা এবং একটি শিশু হাসপাতালের কাছেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল৷

Gaza Angriff Israel
স্থল পথে হামলার জন্যও প্রস্তুত ইসরায়েলছবি: AP

ইহুদী বসতিতে হামাসের রকেট হামলা বন্ধের জন্য শনিবার অপারেশন কাস্ট লিড নামে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েল৷ এতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪শ ছাড়িয়েছে৷ তবে নিহতদের ২৫ শতাংশই বেসামরিক ফিলিস্তিনী বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ অন্যদিকে ফিলিস্তিনী জঙ্গিদের রকেট হামলায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে ৪ ইসরায়েলী৷ বিমান ও নৌ হামলার পাশাপাশি স্থল পথে হামলার জন্য এরই মধ্যে গাজা সীমান্তে হাজার হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে ইসরায়েল৷ দেশটির সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, স্থল অভিযানের জন্য তারা পুরোপুরি প্রস্তুত৷ পাল্টা জবাবে ইসরায়েলকে পরাজিত করার অঙ্গীকার করেছে হামাস৷

মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি শান্ত করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আরব লীগের পক্ষ থেকে একটি যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব উত্থাপন করে লিবিয়া এবং মিশর৷ এতে অতি সত্বর ইসরায়েলী বিমান হামলা বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে৷ তবে প্রস্তাবে হামাসের রকেট হামলার কথা উল্লেখ না করায় ভারসাম্যপূর্ণ নয় বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন৷ জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জালমে খালিলজাদ বলেছেন, আমরা একটি টেকসই যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করি, যা সবাই মেনে চলবে৷ নির্দিষ্ট করে বলতে চাই, হামাসকে অবশ্যই রকেট হামলা বন্ধ করতে হবে৷ এটা না হলে কিংবা গাজায় অস্ত্র পাচার বন্ধ না হলে কোন যুদ্ধবিরতিই কার্যকর হবে না৷ হামাস রকেট হামলা বন্ধ করতে ইচ্ছুক এমন কোন প্রমাণ আমরা এখনো পাই নি৷

জাতিসংঘে ইসরায়েলী দূত গাব্রিয়েলা শ্যালেভ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, নাগরিকদের রক্ষায় এবং সন্ত্রাস বন্ধে যে কোন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ইসরায়েল৷ যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আরব লীগের দেয়া প্রস্তাবে গঠনমূলকভাবে সাড়া দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জার্মানি৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনিকে টেলিফোন করে এই আহ্বান জানান৷

এদিকে গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয়ের আশংকা করছে জাতিসংঘ৷ সেখানে জরুরি ভিত্তিতে ৩৪ মিলিয়ন ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘের ত্রান ও কর্ম সংস্থা৷ গাজায় সাহায্যের জন্য নিজ দেশে জাতীয় পর্যায়ে সাহায্য অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ৷

তবে ইসরায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিপি লিভনি আবারো বলেছেন গাজায় সাহায্য তত্পরতা চালানোর জন্য কোন চুক্তির প্রয়োজন নেই৷ প্যারিসে ফরাসী প্রেসিডেনট নিকোলা সার্কোজির সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি একথা বলেন৷ এর আগে বুধবার সাহায্য তত্পরতা চালানোর জন্য ফ্রান্সের দেয়া ৪৮ ঘন্টার জন্য যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল৷ তবে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনী ভূখন্ড থেকে ইসরায়েল অবরোধ তুলে নিলে এবং সমস্ত সীমান্ত খুলে দিলে ইইউ-র যুদ্ধ বিরতি প্রস্তাব মেনে নেবে তারা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য