সম্প্রচার বন্ধে সরকারের ভূমিকা
১৪ মার্চ ২০১২একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান ও সিইও আবদুস সালাম বলেছেন, গণতন্ত্রে বিরোধী দলের কার্যকলাপ তুলে ধরাও সংবাদ মাধ্যমের কর্তব্য৷ কারণ তাদেরও জবাবদিহিতা রয়েছে, তাদের জনসমর্থন রয়েছে৷ সরকারি দলের মতো তাদেরও প্রচারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷ দলমত নির্বিশেষে এই ধারা চালু থাকা উচিত৷ সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করলে এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ কাম্য নয়৷
আবদুস সালাম বলেন, একুশে টেলিভিশন শুধু সরকার ও বিরোধী পক্ষ নয়, বামপন্থী দলগুলির সমাবেশেরও সরাসরি সম্প্রচার করে থাকে৷ ১২ মার্চের মহাসমাবেশের আগে সরকারের কাছ থেকে সরাসরি সম্প্রচার না করার জন্য চাপ ছিল৷ তা না মানায় শেষ পর্যন্ত কেবল অপারেটরদের সেই সম্প্রচার বন্ধ করতে বাধ্য করা হয়৷ সরকার এর আগেও গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে এমন চাপ সৃষ্টি করেছে৷ এবারও সরকার চায় নি যে বিরোধী দলের মহাসমাবেশ কোনো অবস্থায় জনগণ বা দর্শকদের কাছে পৌঁছক৷ এই লক্ষ্যে তারা নজিরবিহীনভাবে ঢাকায় প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল৷
আবদুস সালাম আরও মনে করেন, স্পেকট্রাম পুনঃ বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজ না থাকায় একুশে টিভিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন যে নোটিশ দিয়েছে, তার পিছনেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কাজ করছে৷ একুশে টেলিভিশন যেভাবে সরকার, বিরোধী পক্ষ সহ সব দলের বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সরকার তাতে ক্ষুব্ধ৷ কোনো খবর বন্ধ করার এক্তিয়ার সরকারের নেই৷
সাক্ষাৎকার: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ