1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুলল কাবুল বিমানবন্দর

১০ সেপ্টেম্বর ২০২১

অ্যামেরিকা আফগানিস্তান ছাড়ার পর এই প্রথম বিমান উড়ল কাবুল বিমানবন্দর থেকে। বিমান নেমেছে দোহায়।

https://p.dw.com/p/408jL
কাবুল
ছবি: Karim Jaafar/AFP

সম্ভাবনা ছিল। তবে এত তাড়াতাড়ি কাবুল বিমানবন্দর খোলা সম্ভব হবে, তা অনেকেই ভাবেননি। অ্যামেরিকা আফগানিস্তান ছাড়ার পরে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে প্যাসেঞ্জার ফ্লাইট ছেড়েছে কাতারের উদ্দেশে। শুক্রবারও একটি বিমান ছাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তালেবান জানিয়েছে, বৈধ কাগজ থাকলে তারা বিদেশি নাগরিকদের বিমানে উঠতে দেবে। কাতার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বিমানে প্রায় দেড়শ মানুষ ছিলেন। তার মধ্যে বহু অ্যামেরিকান, ক্যানাডার নাগরিক এবং কিছু জার্মান ছিলেন।

দোহার মধ্যস্থতায় এভাবেই আরো মার্কিন নাগরিককে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মেদ বিন আব্দুলরহমান আল-থানি বিমান চালাতে দেওয়ার জন্য তালেবানকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই কাবুল বিমানবন্দর খোলা নিয়ে তালেবানের সঙ্গে আলোচনা চলছিল। প্রয়োজনে কাতার সে কাজে তালেবানকে সাহায্য করবে বলেও জানানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তা সফল হলো।

বস্তুত, বিমানবন্দর খোলার জন্য চাপসৃষ্টি করেছিল পশ্চিমা দেশগুলি। কাতারে গিয়ে এ বিষয়ে আলোচনা করেছিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও সম্প্রতি এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন কাতারের সঙ্গে। কাতার প্রশাসন জানিয়েছে, বিমানে ১২০ থেকে ১৫০ জন মতো যাত্রী ছিলেন। তার মধ্যে অধিকাংশই অ্যামেরিকান। শুক্রবার আরো একটি বিমান উড়বে কাবুল থেকে। সেটিও কাতারে পৌঁছবে। ওই বিমানে দুইশো যাত্রী থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবারের বিমানে ১৫জন জার্মান ছিলেন বলে হাইকো মাস জানিয়েছেন। কাতারকে তিনি ধন্যবাদও দিয়েছেন।

দোহায় বৃহস্পতিবার বিমানটি নামার পরেই হোয়াইট হাউস একটি বিবৃতি জারি করে। তাতে বলা হয়, তালেবানের সঙ্গে বিজনেস মডেলে আলোচনা চলছে। তারই ফলে বিমান চালানো সম্বব হয়েছে। বিজনেস শব্দটি ব্যবহার করে কূটনৈতিক শব্দটিকে এড়ানোর চেষ্টা করেছে হোয়াইট হাউস। এমনই মনে করছেন অনেকে। কারণ, এখনো তালেবানকে মান্যতা দেওয়ার জায়গায় পৌঁছায়নি মার্কিন প্রশাসন।

কাতারের মাধ্যমেই বাকি মার্কিন নাগরিকদের উদ্ধার করা যাবে বলে মনে করছে অ্যামেরিকা। একইসঙ্গে আফগানিস্তানে মার্কিন এবং ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে কাজ করা আফগানদেরও এই পদ্ধতিতেই দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, আল জাজিরা)