1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খুঁজতে হবে আলু-ডিম বাজারের আড়াল

তৌহিদুল ইসলাম
১০ নভেম্বর ২০২৩

ফুটবলে কোন খেলোয়াড় যদি ফাউল করতে থাকেন, রেফারি তাকে সতর্ক করেন, কার্ড দেখান৷ রেফারি শক্ত হাতে বার্তা দিতে না পারলে ফাউলের মাত্রা বাড়ে, অন্যরাও চেষ্টা করেন সুযোগ নেওয়ার৷

https://p.dw.com/p/4YdAb
ঢাকার কারওয়ান বাজারে একটি ডিমের দোকান
সুবিধাবাদী, মুনাফাখোরদের ফাউল খেলায় অসহায় বাংলাদেশের ক্রেতা-ভোক্তারা ছবি: Samir Kumar Dey/DW

এরকম খেলায় একপক্ষ ভালো দল হলেও শুধু ফাউলের শিকার হয়ে ম্যাচ হেরে যেতে পারে৷

বাংলাদেশের ক্রেতা-ভোক্তারা হেরে যাচ্ছেন৷ সুবিধাবাদী, মুনাফাখোরদের ফাউল খেলায় তারা অসহায়৷ যাদের রেফারির ভূমিকায় থাকার কথা, সরকারের সেসব সংস্থা আমদানির মাধ্যমে দামের ভারসাম্য তৈরি করার চেষ্টা করছে৷ কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনায় যে ত্রুটি স্পষ্ট, সেটি সারানো যাচ্ছে না৷ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় আরও বেপরোয়া ‘ঝোপ বুঝে কোপ মারার দল'৷ তাদের বিরুদ্ধে  হার্ডলাইনে না যেতে পারার কথাগুলো বিভিন্ন সময়ে বেরিয়ে আসছে মন্ত্রীদের কথাবার্তায়৷

একটা উদাহরণ দেওয়া যাক৷ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩৷ বুধবার৷ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায়, রংপুর মহানগরীর উত্তম এলাকার আরমান কোল্ডস্টোরেজে৷ সকাল ৯টা বাজতেই উপস্থিতি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান৷ তিনি ডেকে পাঠান, স্টোরেজের ম্যানেজার রেজাউল এবং রাসেল নামের অপর এক ব্যবসায়ীকে৷ তাদের বিলম্ব দেখে পুলিশ পাঠালে ঘটনাস্থলে আসেন দু'জন৷ কাগজ-পত্র ঘেটে দেখা যায়, এ মৌসুমে আরমান কোল্ডস্টোরেজে আলু মজুদ করা হয়, দুই লাখ ১০ বস্তা৷ মৌসুম প্রায় শেষ হয়ে গেলেও মজুদের পরিমাণ এক লাখ বস্তার বেশি৷ মানে, বেশি দামের আশায় আলু বিক্রি করেনি তারা৷ এরপরের তথ্য আরও উদ্বেগের৷ এই কোল্ডস্টোরেজে আলু মজুদের জন্য চার কোটি ৬০ লাখ টাকা, দাদনের মতো করে দেয়া হয় কৃষকদের৷ এই টাকা পূবালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছিল অন্য ব্যবসার কথা বলে! এই প্রক্রিয়ার মূল কারিগর ছিলেন, ব্যবসায়ী রাসেল৷ একটু চিন্তা করলেই দেখা যায়, প্রায় এক বছর আগে আলু থেকে বিশাল মুনাফার পরিকল্পনা করেছিলেন স্টোরেজ ও তাদের সহায়করা৷

সব দেখে-শুনে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আলু বের করে ২৭ টাকা দরে বিক্রির ব্যবস্থা করতে নির্দেশনা দেন, জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগকে৷ পুলিশে সোপর্দ করা হয়, রেজাউল এবং রাসেলকে৷ কিন্তু সন্ধ্যা নাগাদ ছাড়া পেয়ে যান দুইজন৷ এ যেন বজ্র আটুনি ফসকা গেরো৷ ওই ২০ তারিখ পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আটটি জেলার ১০৬টি কোল্ড স্টোরেজে আলুর মজুদ ছিল প্রায় পাঁচ লাখ টন৷

এ ঘটনার আগে ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার, আলু, ডিম, পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়৷ বলা হয়, ভোক্তা পর্যায়ে আলুর দাম হবে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা৷ প্রতি পিস ডিম বিক্রি হবে ১২ টাকায়৷ আর দেশি পেঁয়াজের বিক্রয় মূল্য নির্ধারণ করা হয়, প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা৷ কিন্তু মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া দামে পণ্য মেলেনি বাজারে৷ অথচ এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল কৃষি এবং মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে৷ তারা উৎপাদন খরচ, পরিবহণ, পাইকারি-খুচরা পর্যায়ে মুনাফাসহ সবকিছু বিবেচনা করে দর নির্ধারণ করেছিলেন৷ প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে গলদ কোথায়? আর উত্তরণের রাস্তাইবা কোন দিকে?

গলদ খুঁজে মেরামতের চেয়ে উত্তরণে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে বেশি৷ সেটি করা হয়েছে, আমদানির ওপর ভরসা করে৷ কয়েক মাস আগে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেলে, ভারত থেকে আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ এক্ষেত্রেও ডিম, আলু আমদানি করে বাজারে দামের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়েছে৷ আমদানির প্রক্রিয়াটি সহজ নয়৷ সিদ্ধান্ত নিতেই কেটেছে কয়েক দিন৷ ডিমের ক্ষেত্রে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে সময় গেছে৷ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ডিম দেশে আসতে লেগেছে ৪৯ দিন৷ আলু আনার অনুমতি দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে দেশে এসে গেছে৷

বাংলাদেশ ডিম-আলু আমদানিতে অভ্যস্ত নয়৷ এমনকি আলু রপ্তানিতে ২০ শতাংশ প্রণোদনা দেয় সরকার৷ এই ডিম-আলু আমদানির চেয়ে উৎপাদন বাড়িয়ে আর বাজার ব্যবস্থাপনার ত্রুটি দূর করে, দাম সহনীয় রাখাটাই প্রত্যাশিত৷ বাজার ব্যবস্থাপনা ত্রুটি রংপুরের আরমান কোল্ড স্টোরেজের ঘটনায় স্পষ্ট৷ আমরা এটাকে যদি কেইস স্টাডি হিসেবে ধরি, তাহলে মন্ত্রীদের কথায় সামগ্রিক চিত্র দেখতে পাব৷

৩০ অক্টোবর, সোমবার কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা একটি সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়াচ্ছে৷ এ বছর অস্বাভাবিকভাবে আলুর দাম বেড়েছে৷ আমরা যে দাম স্থির করে দিয়েছিলাম, তাতেও তাদের (কোল্ডস্টোরেজ) লাভ থাকার কথা৷ কিন্তু সেই দামের ধারে কাছেও থাকছে না তারা৷ কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা আলু বের করেন না, লুকিয়ে রাখেন৷ সেদিনই বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের অনুরোধে আলু আমদানির সিদ্ধান্তের কথা জানান ড. রাজ্জাক৷ (ঢাকা পোস্ট, ৩০ অক্টোবর)

এর আগে জুনে দ্রব্যমূল্য নিয়ে সংসদে বিরোধী এমপিদের কড়া সমালোচনার জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছিলেন, বড় গ্রুপগুলোকে জেল-জরিমানা করা যায়৷ কিন্তু তাতে হঠাৎ যে সংকট তৈরি হবে, তা সইতে কষ্ট হবে৷ (প্রথম আলো, ২৬ জুন)  

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে একটি ছায়া সংসদ বিতর্কে বলেছেন, ‘করপোরেটরা নিয়ন্ত্রণ করে সবকিছু৷ একেবারে মিডিয়াসহ, সাংবাদিকসহ, আমরাতো আছিই৷ কাউকে বাদ দেয় না তারা৷ .. এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা খুব কষ্টকর৷ যেহেতু নির্বাচন সামনে সরকারের জন্যেও একটা বেকায়দা আছে, সহজ কথা৷ এ সুযোগটাই আমার মনে হয় নিচ্ছে৷' এত বক্তব্য লেখার উদ্দেশ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো জানে, বাজার থেকে যে দরে ভোক্তারা পণ্য কিনছেন তা ন্যায্য নয়৷ কিন্তু এর দায় যেসব সুযোগ সন্ধানীর, তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত কঠোর হতে কোথায় যেন নমনীয়তা৷   

আলু আমদানি শুরু হলেও দাম ৩৬/৩৭ টাকায় নামেনি৷ পাড়া-মহল্লায় বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে৷ ডিমের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র৷ ৪৯ দিন লাগলেও যেদিনই ভারত থেকে ডিম দেশে এসেছে, সেদিনই দাম কমা শুরু হয়৷ ৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের খামারের বাদামি ডিম ৮ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৯০ পয়সা দরে পিস বিক্রি করেছেন তারা৷ আর সাদা দিমের গড় দাম পিস ৮ টাকা৷ মজার ব্যাপার হচ্ছে, সরকার খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের সর্বোচ্চ দাম বেঁধে দিয়েছিল ১২ টাকা৷ এখন তার চেয়ে কমে মিলছে৷ এতে আবার শঙ্কিত আমদানিকারকরা৷ ১৫ লাখ পিস ডিম আমদানির জন্য এলসি (লেটার অফ ক্রেডিট) করেছে টাইগার এক্সপোর্ট এবং রিপা এন্টারপ্রাইজ৷ প্রতিষ্ঠান দু'টির কর্ণধার যথাক্রমে সাইফুর রহমান ও শেখ আল মামুন একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভোক্তা পর্যায়ে আমদানি করা ডিমের দাম পড়বে ১০ টাকা ৫০ পয়সা৷ কিন্তু করপোরেটরা দেশে উৎপাদিন ডিম এর চেয়ে কম দামে দেওয়ার চেষ্টা করছে৷ তাহলে আমদানিকারক লোকসানের মুখে পড়ে যাবেন৷ তাছাড়া দেশে উৎপাদিন ডিমের ওজন ৫৫ গ্রাম৷ আর ভারত থেকে আমদানিকৃত ডিমের ওজন ৫/৭ গ্রাম কম৷ আমদানিকারকেরা নিরুৎসাহিত হলে, আবারও নিজেদের মত দাম বাড়াতে পারবে, নিয়ন্ত্রণকারী সুযোগ সন্ধানীরা৷ যাদেরকে জনগণের ভাষায় সিন্ডিকেট বলা হয়ে থাকে৷

দেখা যাচ্ছে, আমদানির মাধ্যমে যে বিকল্প লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল, সেটিও পুরোপুরি কাজে দিচ্ছে না৷ বাজারের প্রক্রিয়ায় যারা নিয়ম ভঙ্গকারী, তারা এতই পরাক্রমশালী ভাব দেখাচ্ছে, অসহায়ত্বটাই যেন ভোক্তাদের নিয়তি৷ আলুর ক্ষেত্রে আমরা আশার কথা শুনছি৷ নতুন আলু আসতে আর বেশি দেরি নেই৷ শীত আসতে শুরু করেছে৷ অন্যান্য সব্জির দামও কমছে৷ তাই এটি আর বড় মাথা হয়ে থাকবে না৷ কিন্তু ডিমের কী হবে? বা আগামী বছরও যে একই খেলা শুরু হবে না, সেটা বিশ্বাস করা যায় কিভাবে?

আমরা যদি বেশ কয়েক বছর আগের ট্রেডিশন খেয়াল করি, তাহলে দেখবো রমজান মাস শুরু হতেই বেড়ে যেতো পণ্যমূল্য৷ বিশেষ করে ছোলা, চিনি, পেঁয়াজ বা এ জাতীয় ইফতার ও সেহরি সংশ্লিষ্ট পণ্যের দামে একটা বড় লাফ দেখতে পেতাম৷ গত কয়েক বছরে বদলেছে চিত্র৷ রমজান শুরুর মাসখানেক আগেই বেড়ে যায় দাম৷ এছাড়া একেকবার একেকটি নির্দিষ্ট পণ্য ঘিরে চলে তেলেসমাতি৷ যেমন ব্রয়লার মুরগি, চিনি, পেঁয়াজ, ডিম, আলু বা কাঁচা মরিচ৷ গণমাধ্যমে হেডলাইন, সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয় প্রকাশ-প্রচার হতে থাকে৷ অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করে প্রতিযোগিতা কমিশন৷ কিন্তু এসবের মাঝেই যা ঘটার ঘটে যায়৷ ট্রল চলে সামাজিক মাধ্যমে৷ ভোক্তারা অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে বাধ্য হয়, ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে একসময় ভুলে যায়৷

সমাধানের তাত্ত্বিক উপায় উৎপাদন বাড়িয়ে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা৷ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বাজারে স্থিতিশীল থাকে দাম৷ কিন্তু চাইলেই দু'চার দিনে বা দু'চার মাসে উৎপাদন চিত্র দিনরাত বদলে দেওয়া সম্ভব নয়৷ এ কথা ঠিক, দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে অনেক৷ কমেছে কৃষি জমি৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উচ্চফলনশীল জাত আবাদ করে অনেকটাই মিটছে চাহিদা৷ তবুও ঘাটতি থেকে যাচ্ছে৷ আর অল্প ঘাটতির সুযোগটাই নিচ্ছে অসাধুরা৷ এখন মনযোগ দেওয়ার সময়, কিভাবে এই অল্প ঘাটতিটুকু পূরণ করা যায়৷ কারণ দেশের অর্থনীতিতে বিদেশি মুদ্রার সংকট যাচ্ছে৷ সেসময়ে বিদেশি মুদ্রা খরচ করে পণ্য এনে খাওয়া খুবই ব্যয়বহুল৷

সাম্প্রতিক বাংলাদেশে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে৷ যেমন ব্রয়লার মুরগির ক্ষেত্রে কনট্রাক্ট ফার্মিং হচ্ছে৷ অন্য কৃষি উৎপাদনেও যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি, চাষ হচ্ছে নতুন নতুন পণ্য৷ তবুও ধান, আলু, ডিমের মত পণ্যগুলোকে আলাদাভাবেই ভাবা দরকার৷ ক্ষুদ্র উৎপাদনকারীদের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে৷ সার-বীজ বা পশু-পাখির খাদ্য ও বালাইনাশকের সরবরাহ নিশ্চিত করতে, সঠিক পরিসংখ্যান থাকতে হবে৷ শুধু দাপ্তরিক পর্যায়ে সুন্দর-সুন্দর লেখা বা তথ্য থাকলে কাজের কাজ কিছু হবে না৷ মাঠে কতটা প্রয়োগ করা যাচ্ছে, কিংবা  নতুন কোন জটিলতা দেখা দিলে সেগুলো সমাধানের ওপর নির্ভর করবে উৎপাদন বৃদ্ধি৷

এ মুহূর্তে ভোক্তাদের কাছে উৎপাদন বৃদ্ধির কথাটা উপহাসের মত মনে হতে পারে৷ কারণ তাদের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাসহীনতা তৈরি হয়েছে৷ তারা মনে করতে পারে, উৎপাদন কয়েক গুণ বাড়লেও ‘সিন্ডিকেট' তাদের কাছ থেকে অন্যায্য দামই আদায় করবে৷ এ বিশ্বাসহীনতা দূর করতে, বাজার-দুর্বৃত্তদের পর্দার সামনে আনতে হবে৷ প্রতিযোগিতা কমিশন নামে যে একটা প্রতিষ্ঠান আছে, তারা যে বিচার করে সাজা দিতে পারে, সেটা দৃশ্যমান করতে হবে৷

তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিক
স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য