খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
২২ নভেম্বর ২০২১ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সোমবার সকাল ১০টায় ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতে হাজারখানেক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে এ সমাবেশ শুরু হয়৷
সমাবেশে বিএনপির স্লোগান ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই', ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে' ইত্যাদি৷ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম৷
মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারাও উপস্থিত আছেন এ কর্মসূচিতে৷ পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশে যোগ দেন৷
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আবদুস সালাম বলেন, ‘‘আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যু সন্ধিক্ষণে আছেন৷ তাকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো অতি জরুরি৷ এজন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি, আমাদের নেত্রীকে বিদেশে না পাঠানো পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না ৷’’
তাকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতির দাবিতে গত ২০ নভেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে ৭ ঘন্টার গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ৷ কেন্দ্রীয়ভাবে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সেই অনশন হয় ৷ বিএনপি ছাড়াও জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, গণফোরামসহ ২০ দল ও পেশাজীবী নেতারা তাতে অংশ নেন ৷
ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর-জেলা-উপজেলায় একযোগে এই সমাবেশ হচ্ছে জানিয়ে আবদুস সালাম বলেন, রাজধানীর এই সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন তারা৷
৭৬ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আরথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন৷ গত ১৩ নভেম্বর থেকে তিনি বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে৷ তাকে চিকিৎসার জন্য তার পরিবার বিদেশে নেওয়ারল জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন৷ সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, যেহেতু দণ্ড স্থগিত করে শর্তসাপেক্ষে খালেদা জিয়াকে সাময়িক মুক্তি দেওয়া হয়েছে, সেহেতু তাকে এখন বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সুযোগ নেই৷ তবে তিনি যদি কারাগারে ফিরে গিয়ে আবেদন করেন, সরকার তখন তা বিবেচনা করতে পারে৷
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার বিকালে এক আলোচনা সভায় বলেন, তাদের নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিলে সরকারকে ‘গণ আন্দোলনের’ মুখোমুখি হতে হবে ৷
চাপপ্রয়োগের কৌশল হিসেবে বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা ঘটলে সরকার ‘যথাযথ ব্যবস্থা’ নেবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল৷
এনএস/কেএম(বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)