কয়েকটি জনপ্রিয় জার্মান বাগধারা
অকর্মার ধাড়ি, কুমিরের কান্না, ডুমুরের ফুল, পটল তোলা – এসব বাংলা ভাষার কিছু জনপ্রিয় বাগধারা৷ জার্মান ভাষায়ও এমন অনেক বাগধারা রয়েছে৷ তার মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটির পরিচয় পাওয়া যাবে ছবিঘরে৷
ভালো ভাগ্যের প্রতীক
ধরুন আপনি লটারি জিতলেন কিংবা পরীক্ষার জন্য ভাল প্রস্তুতি না নিয়েও সফল হলেন, অর্থাৎ আপনার ভাগ্য ভাল হলে জার্মানরা বলবে, ‘‘শোয়াইন গেহাবট’’ মানে আপনি শূকর পেয়েছেন৷ অন্য অনেকের মতো জার্মানরাও শূকরের মাংস খেতে পছন্দ করে৷ আবার এই শূকরই তাঁদের কাছে সুপ্রসন্ন ভাগ্যের প্রতীক৷
আপনি ‘ক্রেজি’ হয়ে গেছেন!
‘নিশট আলে টাসেন ইম শ্রাঙ্ক হাবেন’ মানে আলমারিতে সব কাপ নেই৷ এখানে কাপ শব্দটা মন বা আত্মার সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে৷ তাই যদি হয়, তাহলে পুরো কথাটার মানে হচ্ছে, আপনার কিছু একটা সমস্যা হয়েছে৷ অর্থাৎ আপনি ক্রেজি হয়ে গেছেন৷
সবকিছু গুলিয়ে ফেললে
কেউ যদি আপনাকে বলে ‘ইশ ফ্যারস্টেয়ে নুয়র বানহোফ’৷ কথাটা আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘আমি শুধু রেলস্টেশন’ বুঝি! কেউ যখন সবকিছু গুলিয়ে ফেলে কিংবা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়, তখন জার্মানরা এই বাক্যটা উচ্চারণ করে অবস্থাটা প্রকাশ করে৷
কষ্টে থাকলে শুনবেন
যখন জীবনের উপর আপনি বিরক্ত, কোনোকিছুই ঠিক হচ্ছে না বলে মনে করছেন, তখন আপনাকে সান্ত্বনা দিতে কেউ বলে উঠবে, ‘ডাস লেবেন ইস্ট কাইন পোনিহোফ’; মানে, ছোটোবেলায় হাজারবার পড়া সেই লাইন, ‘লাইফ ইজ নট এ বেড অফ রোজেস’ – ‘জীবনটা পুষ্পসজ্জা নয়!’
বিরক্তি প্রকাশ
কোনো কিছু নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করতে জার্মানরা বলে থাকে ‘ইশ হাবে ডি নাজে ফল’৷ এর মানে, আমার নাক পরিপূর্ণ৷ পাঠক, কিছু কি বুঝলেন? এই কথা বলে কেউ একজন বলতে চায় যে, অনেক হয়েছে, এবার থামুন৷
কোনো কাজ নেই!
জার্মানদের প্রিয় খাবারের একটি সসেজ৷ জার্মান ভাষায় যেটা ‘ভুর্স্ট’ নামে পরিচিত৷ তবে যদি আপনি বন্ধুদের বলেন, ‘এস ইস্ট মিয়ার ভুর্স্ট’ তার মানে হলো ‘এতে আমার কিছুই এসে যায় না’৷ অর্থাৎ কোনো মতামতই নেই৷
শুভকামনা
কাউকে শুভকামনা জানানোর সময় জার্মানরা বলবে ‘ইশ ড্র্যুকে ডিয়ার ডি ডাউমেন’৷ অর্থাৎ ‘তোমার জন্য আমি আমার বুড়ো আঙুল চেপে দিলাম’৷ এমনকি বুড়ো আঙুল ঢোকানো সেই মুষ্টিবদ্ধ হাত উপরেও তুলে ধরতে পারে আপনার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী৷
মিথ্যা বলার খেসারত
‘ল্যুগেন হাবেন কুয়রৎসে বাইনে’ অর্থাৎ মিথ্যার ছোট পা থাকে৷ অনেকটা ছবির এই ডাখসহুন্ড কুকুরগুলোর মতো৷ এর মানে হচ্ছে, মিথ্যা বলে পার পাওয়া যায় না৷ কোনো না কোনো সময় সেটা আপনাকে তাড়া করে ফিরবেই৷