1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

কেমন হলো দনেৎস্ক, লুহানস্কের গণভোট?

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাশিয়ার দাবি প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। স্থানীয় মানুষের দাবি, বন্দুকের নলের সামনে ভোট হয়েছে।

https://p.dw.com/p/4HUeK
ইউক্রেন
ছবি: AA/picture alliance

রাশিয়া জানিয়েছে, চারদিনের গণভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। বিপুল পরিমাণ মানুষ ভোটে অংশ নিয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রশাসনের দাবি, যত মানুষ ভোট দিয়েছে বলে রাশিয়া দাবি করছে, তত মানুষ ওই সমস্ত এলাকাতেই নেই। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর লাখ লাখ মানুষ সেখান থেকে পালিয়ে এসেছে।

যুদ্ধের আতঙ্ক নিয়ে ইউক্রেনে স্কুলে ফিরছে শিশুরা

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলেছে ডিডাব্লিউ। এক নারী জানিয়েছেন, তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। এমন সময় দুই নারী এবং তাদের সঙ্গে তিনজন রাইফেল হাতে সেনা জওয়ান এসে তাকে ভোট দিতে যেতে বলে। ইচ্ছা না থাকলেও তিনি ভোট দিতে যেতে বাধ্য হন। বুথে ঢুকে তাকে বন্দুকের নল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া হয় কোথায় ছাপ দিতে হবে।

ওই নারী ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''আমার ছেলের বয়স ৩৫। ভয় ছিল, আমি ভোট দিতে না গেলে ওরা ছেলেকে সেনাবাহিনীতে নিয়ে যেত। সে কারণেই ওদের সঙ্গে ভোট দিতে চলে যাই।'' ওই নারীর দাবি, তিনি চলে যাওয়ায় তার স্বামী এবং ছেলের দিকে সেনা জওয়ানদের নজর পড়েনি। তারা মাঠেই কাজ করছিল।

এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই। ডিডাব্লিউকে অনেকেই জানিয়েছেন যে, রাইফলের নলের সামনে তারা ভোট দিতে বাধ্য হয়েছেন।

ভোট হয়েছে মূলত লুহানস্ক, দনেৎস্ক, ঝাপোরিজ্ঝিয়া এবং খেরসনে। দনেৎস্ক এবং লুহানস্কে রাশিয়ার মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীরা জানিয়েছে, ৮৭ শতাংশ ভোট হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় ইউক্রেন প্রশাসনের বক্তব্য, ওই পরিমাণ মানুষই নেই সেখানে। সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যাওয়া অঞ্চলেও ৫০ শতাংশের উপর ভোট পড়েছে বলে রাশিয়া দাবি করেছে। কিন্তু বাস্তবে সেখানে ১০ শতাংশ মানুষও নেই। সকলেই পালিয়ে গেছেন। বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

রাশিয়া অবশ্য জানিয়েছে, ভোট শান্তিপূর্ণভাবেই হয়েছে। দ্রুত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। ইউক্রেনপন্থিদের বক্তব্য, এই ভোটের মাধ্যমে রাশিয়া ওই অঞ্চলের একটি ডেটাবেস তৈরি করার চেষ্টা করেছে। স্থানীয় মানুষের বয়স, ভাষা এই সবকিছুই জানার চেষ্টা করেছে তারা।

ইউক্রেনপন্থিদের বক্তব্য, শেষপর্যন্ত রাশিয়ার গণভোট সফল হবে না। কারণ, এর আগে ওই অঞ্চলে রাশিয়া রুবল, রাশিয়ার পাসপোর্ট চালু করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি। গণভোট নিয়েও রাশিয়া যা ভাবছে, তা সাফল্য পাবে না।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)