1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিরাশিয়া

কুরস্কে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া

১২ আগস্ট ২০২৪

ইউক্রেনের সেনা ঢুকে পড়ার পর কুরস্ক থেকে দ্রুত সাধারণ মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যেতে বললেন গভর্নর।

https://p.dw.com/p/4jMai
কুরস্কে ইউক্রেনের মিসাইল একটি বাড়িতে আঘাত করে রাশিয়ার দাবি।
কুরস্ক থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। ছবি: Ilya Pitalev/Sputnik/IMAGO

ইউক্রেনের সেনা কুরস্কের ৩০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে গভর্নর অ্য়ালেক্সি স্মিরনভ বলেছেন, যে সব জায়গা সাধারণ মানুষের পক্ষে নিরাপদ নয়, সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার সেনার লড়াই চলছে।

রাশিয়ার মিডিয়া জানিয়েছে, ইউক্রেনের সেনা ঢুকে পড়ার পর কুরস্ক থেকে ৭৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  দিন কয়েক আগে কুরস্কে ইউক্রেনের সেনা ঢুকে পড়ে বলে রাশিয়া জানিয়েছিল। তারপর কুরস্কে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।

জেলেনস্কির বক্তব্য

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রোববার সন্ধ্যায় বলেছেন, রাশিয়া এই কুরস্ক থেকে প্রায় দুই হাজার বার সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেনে হামলা করেছে।  তার একটা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে।

তিনি দৈনিক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ''রাশিয়া গোলা, মর্টার, ড্রোনের মাধ্যমে আক্রমণ করেছে। এই আক্রমণের একটা ন্যায্য প্রতিক্রিয়া দরকার ছিল।''

কুরস্কের এক বাসিন্দা।
কুরস্ক থেকে ৭৬ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেছে রাশিয়া। ছবি: Ilya Pitalev/SNA/IMAGO

একদিন আগেই কুরস্কে তাদের সেনা অভিযানের কথা স্বীকার করে নেয় ইউক্রেন।

দনেৎস্কে রাশিয়ার হামলা চলছে, বললো ইউক্রেন

রাশিয়ার সেনা দনেৎস্কে আক্রমণ করছে এবং এখন পকরোভস্ক শহরকে ঘিরে লড়াই চলছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান দাবি করেছেন, রোববার ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার ২৬টি প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে পেরেছে।

ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার সেনা টরেৎস্ক শহরের দিকেও এগোবার চেষ্টা করছে। সেখানে বারবার বিমান হামলা করছে রাশিয়া।

আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাশিয়ার মিডিয়া জানিয়েছে, রাববার সন্ধ্যায় সরকারি পরমাণু সংস্থা জানিয়েছে, রুশ নিয়ন্ত্রিত ঝাপোরিজ্ঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রের কুলিং প্ল্যান্টের আগুন নিভে গেছে। ইউক্রেন ও রাশিয়া একে অপরকে এই আগুন লাগার জন্য দায়ী করেছিল। রাশিয়ার অভিযোগ ছিল, ইউক্রেনের আক্রমণের ফলে আগুন লেগেছে। আর ইউক্রেন জানিয়েছিল, রাশিয়ার অন্তর্ঘাতের জন্য আগুন লাগে।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি জানিয়েছে, কোনোরকম অস্বাভাবিক তেজস্ক্রিয়তা লক্ষ্য করা যায়নি।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)