কুণাল-নারায়ণ বৈঠকের নিন্দা করে বিবৃতি চিকিৎসক ফোরামের
১৮ অক্টোবর ২০২৪আরজি কর কাণ্ডের পর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন দুই মাসেরও বেশি অতিক্রান্ত। অনশনে একাধিক চিকিৎসক। এই আন্দোলনে গোড়া থেকেই সামনের সারিতে দেখা গেছে চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চলতি সপ্তাহে দ্রোহের কার্নিভালেও তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার সেই নারায়ণই বৈঠক করতে উপস্থিত হন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে। কলকাতায় সংবাদ প্রতিদিনের দপ্তরে প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে নারায়ণ এবং কুণাল দু'জনেই জানান বৈঠকের বিষয়বস্তু নিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমের সামনে কথা বলবেন না। নারায়ণ বলেন, ''ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম, ব্যক্তি কুণাল ঘোষের সঙ্গে, তৃণমূলের মুখপাত্রের সঙ্গে নয়।'' কিন্তু তার এই বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সরব হয় আন্দোলনকারীদের একটি অংশ। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, এই বৈঠকের বিষয়ে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। নারায়ণ যে বৈঠক করতে যাবেন, তা-ও তাদের জানা ছিল না।
শুক্রবার সকালে নারায়ণ একটি ভিডিওবার্তা দেন সমাজমাধ্যমে। সেখানে তিনি দাবি করেন, ডাক্তার এবং চিকিৎসক মহল-- দু'তরফই নিজেদের অবস্থানে অনড়। ফলে অচলাবস্থা কাটছে না। সেই অচলাবস্থা কাটানোর জন্য দুই তরফকেই নমনীয় হতে হবে এবং আলোচনায় বসতে হবে। এই বিষয়টি নিয়েই কুণাল ঘোষের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে। অচলাবস্থা কী করে কাটানো যায়, তা নিয়ে কথা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কুণাল ঘোষ গোড়া থেকেই এই আন্দোলনের সমালোচনা করছেন। তার বিভিন্ন বক্তব্য এবং মন্তব্য নিয়ে একাধিক বিতর্ক হয়েছে।
নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বিবৃতির পরেই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স সংগঠনের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, 'নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো চিকিৎসক সংগঠনের কোনো প্রতিনিধি কিনা আমরা জানি না। তিনি ব্যক্তির এক্তিয়ারে কারো সঙ্গে দেখা করতেই পারেন, কিন্তু জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের দৌত্যের অধিকার তাকে কেউ দেয়নি।' ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সিনিয়র চিকিৎসকদের প্ল্যাটফর্ম মনে করছে, নারায়ণের ভূমিকা আন্দোলনের পরিপন্থী। এবং তারা তার এই কাজকে সমর্থন করছে না।
তৃণমূলের তরফ থেকে এখনো এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন এখনো চলছে। ছয়জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল। এর মধ্যে অনিকেত মাহাতোকে সম্প্রতি হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)