1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিইউক্রেন

কিয়েভে ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক

৩ অক্টোবর ২০২৩

ইউক্রেনে গিয়ে কিয়েভের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন ইইউ-র পররাষ্ট্রন্ত্রীরা। তারপরেও প্রশ্ন, ভবিষ্যতেও ছবিটা এক থাকবে তো?

https://p.dw.com/p/4X44j
কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে জোসেপ বরেল।
কিয়েভে জেলেনস্কির সঙ্গে জোসেপ বরেল। ছবি: Josep Borrell Fontelles/X

ইউক্রেনে গিয়ে কিয়েভের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানালেন ইইউ-র পররাষ্ট্রন্ত্রীরা। তারপরেও প্রশ্ন, ভবিষ্যতেও ছবিটা এক থাকবে তো?

ইইউ-র কূটনীতিক জোসেপ বরেল কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে একটাই বার্তা দিতে চেয়েছেন। ,সেটা হলো, ইইউ পুরোপুরি ইউক্রেনের পাশে আছে।

পরে এক্স হ্যান্ডেলে বরেল লিখেছেন, ''আমরা ইউক্রেনে ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ঐতিহাসিক বৈঠক ডেকেছি। ইউক্রেন ইইউ-র সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তারা ভবিষ্যতের সদস্য। আমরা তাদের পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছি।''

সহযোগিতার বার্তা

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, আসন্ন শীত মরসুমে রাশিয়ার বোমার হাত থেকে বাঁচার জন্য ইউক্রেনের একটা প্রোটেকটিভ শিল্ড  দরকার।  অর্থাৎ তিনি ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাকে আরো মজবুত করতে চেয়েছেন।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া যেন মনে রাখে আমরা দীর্ঘ সময়ের জন্য ইউক্রেনকে সামর্থন ও সাহায্য করে যাব।

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ১৮ মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেছে। এখনো এই বিরোধ মেটার কোনো ইঙ্গিত নেই। ইউক্রেনও এখন পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ইইউ স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা ইউক্রেনকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাবে। ইইউ-র দেশগুলি মিলে ১৩০ বিলিয়ান ইউরো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জার্মানি একাই ২০ বিলিয়ন ইউরো দেয়ার কথা বলেছে।  অ্যামেরিকা ৬০ বিলিয়ন দিচ্ছে।

প্রশ্নও উঠছে

রোববার স্লোভাকিয়ার নির্বাচনে রুশপন্থি রবার্ট ফিকোর নেতৃত্বে জোট জিতেছে। তিনি ইউক্রেনকে কোনোরকম সামরিক সাহায্য দেয়ার বিরোধী। ফলে হাঙ্গেরির মতো স্লোভাকিয়াও  ইউক্রেন-বিরোধী অবস্থান নিতে পারে।

এমনকি ইউক্রেনের অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ পোল্যান্ডও জানিয়েছিল, তারা আর ইউক্রেনকে অস্ত্র দেবে না। পরে অবশ্য প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার কথার ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে। তিনি বলেছেন, তারা ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র দেবেন না।

পোল্যান্ডেও নির্বাচন আসছে। ক্ষমতাসীন দল জেতার জন্য কৃষকদের ভোটের উপর নির্ভর করে। আর ইউক্রেন থেকে শস্য আসার ফলে পোল্যান্ডের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে।

অ্যামেরিকাও এখন সাময়িকভাবে অর্থসাহায্য বন্ধ রেখেছে। কারণ, অ্যামেরিকায় বাজেট আলোচনা চলছে।  ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, তার আশা অ্যামেরিকা আগের মতোই সমর্থন করবে।

তবে কিয়েভে ইইউ-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের যে বৈঠক হয়েছে, সেখানে ইউক্রেনের প্রতি ইইউ-র নীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হবে এমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।

এলা জয়নার/জিএইচ/ডিডাব্লিউ