1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কায়রো এবং গাজা সীমান্তের পর জেরুজালেমে স্টাইনমায়ার

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী১১ জানুয়ারি ২০০৯

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বর্তমানে যুদ্ধবিরতির খোঁজে মধ্যপ্রাচ্যে৷ কিন্তু গাজা সীমান্তে তিনি যা দেখলেন, এবং অতঃপর জেরুজালেমে যা শুনলেন, তা’তে কতোটুকু প্রেরণা পাবেন তিনি?

https://p.dw.com/p/GWAg
ইস্রায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনির সঙ্গে স্টাইনমায়ারছবি: AP

মিশর এবং গাজার সীমান্তে রাফা সীমান্ত পারাপার ঘাঁটিতে গেছিলেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ তিনি যেখানে দাঁড়িয়ে, তার মাত্র কয়েক’শো মিটার দূরে দু’টি ইস্রায়েলী রকেট আঘাত হানে, অবশ্যই গাজার তরফে৷ স্টাইনমায়ার দেখেন আগুনের ঝলসানি এবং ধোঁয়া, শোনেন হামাস যোদ্ধাদের মেশিনগানের গুলির শব্দ৷ এমনকি দ্বিতীয় রকেটের আঘাতের পর বিষ্ফোরণের শক ওয়েভ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মাথার উপর দিয়ে বয়ে যায়৷ স্টাইনমায়ার যখন রাফার চেকপয়েন্টের ছাদে দাঁড়িয়ে মিশরীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনীর এক জেনারেলের ব্যাখ্যান শুনছেন, তখন একটি ইস্রায়েলী জঙ্গিজেট অন্ধকার থেকে ধেয়ে এসে গাজা তরফে কোনো অজ্ঞাত লক্ষ্যের উপর রকেট হেনে আবার অদৃশ্য হয়ে যায়৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী তখন দেখছেন, মিশরীয় তরফে সারি সারি এ্যাম্বুলেন্স দাঁড়িয়ে৷ এদের কাজ হল, গাজায় ঢুকে আহতদের বার করা নিয়ে আসা৷

বাস্তব বনাম কূটনীতি

খেলাটা স্টাইনমায়ারের ঠিক অজ্ঞাত নয়৷ শনিবার তিনি কায়রোয় মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের সঙ্গে কথাবার্ত্তা বলেছেন৷ কায়রোয় তাঁর সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা ছিল, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদল নিয়োগের কন্টকিত প্রশ্নে না গিয়ে, মিশরকে কিভাবে নিজে কিছু করতে উৎসাহিত করা যায়, সে ব্যাপারে৷ যে কারণে স্টাইনমায়ার জার্মানীর তরফ থেকে বাস্তব সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন: সীমান্তরক্ষীদের প্রশিক্ষণ এবং সাজসরঞ্জাম৷ রবিবারে জেরুজালেমে প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেজ, কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী এহুদ বারাকের সঙ্গে তাঁর আলাপ-আলোচনার উপজীব্য এক, কিন্তু ধরণ আলাদা৷ সাধে কি জার্মানীর ‘‘নীরব মধ্যস্থতা’’ মধ্যপ্রাচ্যে এতো কদরের৷

ধৈর্য্যের পরীক্ষা

ইস্রায়েলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি লিভনি স্টাইনমায়ারকে গাজার সীমান্ত সুরক্ষায় জার্মান সাহায্যের জন্য ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি৷ অপরদিকে তিনি রাষ্ট্রপ্রধান শিমন পেরেজের মতোই স্পষ্ট করে দিয়েছেন, যে হামাস ইস্রায়েলের শর্ত মেনে না নেওয়া পর্য্যন্ত অভিযান বন্ধের কোনো প্রশ্নই ওঠে না৷ প্রত্যুত্তরে স্টাইনমায়ার বলেন, ধৈর্য্য সহকারে যুদ্ধবিরতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ তিনি কিন্তু লিভনির সঙ্গে তাঁর আলোচনায় গাজায় ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতদের সংখ্যা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ যুগপৎ স্টাইনমায়ার বলেন, যে যুদ্ধবিরতি থেকে ইস্রায়েলের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাওয়া প্রয়োজন৷

সে পর্য্যন্ত স্টাইনমায়ার তাঁর কাজ করে যাবেন৷ রবিবারেই তিনি আবার কায়রোয় প্রত্যাবর্তন করেছেন, সেখানে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য৷