কাসাবের সাজা ফাঁসি
৬ মে ২০১০লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি গোষ্ঠীতে কাসাব যোগ দিয়েছিল স্বেচ্ছায়৷ কাসাবকে চরম শাস্তি না দিলে ভারতের মানুষ আদালতের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলতো৷ সাজা ঘোষণার সময় কাসাবের মুখ ছিল ভাবলেশহীন৷ কুর্তা-পাজামা পরে বসে ছিল সে বিশেষ কাঠগোড়ায় মুখ নীচু করে৷ মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে জল খেতে চাইলে, তাকে জল খাওয়াতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ফিরে আসে সে ছলো ছলো চোখে৷
কাসাবের ফাঁসির আদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা মন্তব্য করেন. এই রায়ের পর আমরা পাকিস্তানের মতিগতির দিকে লক্ষ্য রাখবো৷ মুম্বই হামলায় কাসাবের আরো ২০জন সহ-আসামীকে ভারতের হাতে তুলে দেবার জন্য পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ জানানো হবে৷
ভারতের আমজনতা বিশেষ করে হতাহতদের আত্মীয় পরিজনএই শাস্তির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ তারা চায়, এর মধ্যে যেন রাজনীতি বা কূটনীতি ছায়া না ফেলে৷ ফাঁসি যেন কার্যকর হয়৷
মুম্বই পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার হিমাংশু রায় এই সাজাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে এ হল গুরুত্বপূর্ণ এক বিচার৷
তবে কাসাবের ফাঁসি অবিলম্বে কার্যকর হবেনা৷ কাসাব হাইকোর্টে, পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে৷ সবশেষে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে সে মার্জনা ভিক্ষা চাইতে পারে৷
প্রতিবেদন : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক