1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কার্বন নির্গমনের বড় উৎস আগ্নেয়গিরি

২১ মার্চ ২০২৩

বিশ্বে অনেক আগ্নেয়গিরি আজও কমবেশি সক্রিয় রয়েছে৷ তবে সেগুলি থেকে যে গ্যাস নির্গত হয়, তার মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে৷ বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন আগ্নেয়গিরি পরীক্ষা করে তার কারণ নির্ণয় করছেন৷

https://p.dw.com/p/4P1Xe
মাউন্ট এটনা (ফাইল ফটো)
মাউন্ট এটনা (ফাইল ফটো)ছবি: ANTONIO PARRINELLO/REUTERS

আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত ঘটলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কোথা থেকে আসে? কোটি কোটি বছর ধরে আগ্নেয়গিরিই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের সবচেয়ে বড় উৎস ছিল৷ সেই নির্গমনই সম্ভবত পৃথিবীকে বরফঢাকা শীতল গ্রহ হয়ে উঠতে দেয় নি৷ ভূ-স্তরের নীচ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড উঠে আসে৷

গ্রহের কেন্দ্রস্থলে শক্ত লোহার উপর তরল স্তর রয়েছে৷ ‘ম্যান্টেল' বলে পরিচিত তার উপরের স্তরে গরম পাথুরে কাঠামো ওঠানামা করে৷

আগ্নেয়গিরিগুলি ক্রাস্ট বা ভূত্বকের উপর থাকে৷ সেই অংশ বেশ নমনীয়৷ ক্রাস্টগুলি এমন প্লেট দিয়ে তৈরি, যেগুলি পৃথিবীর তরল স্তরের উপর ভাসে ও নড়াচড়া করে৷ যেখানে মহাসাগরের প্লেটের সঙ্গে কন্টিনেন্টাল প্লেটের সংঘাত ঘটে, সেখানে সমুদ্রের তলদেশের  কার্বন-সমৃদ্ধ পাথুরে অংশ আরও নীচে নেমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷

পৃথিবীর মাটির নীচে চাপ ও তাপমাত্রা এত বেশি, যে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মতো উদ্বায়ী পদার্থ তরল পাথরে গলে যায়৷ গরম ম্যাগমার সাহাষ্যে সেই বিচ্ছিন্ন সিওটু আগ্নেয়গিরির মধ্যে পৌঁছে যায়৷ ভেন্টের মাধ্যমে উপরে ওঠার সময়ে চাপ কমে যায় এবং গলা পাথর থেকে গ্যাস বেরিয়ে আসে৷ তারপর সেই গ্যাস বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়ে৷

বাষ্প ও সিওটু-র পাশাপাশি আগুনের ফোয়ারার এমন পাহাড় সালফার-ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড এবং মিথেনের মতো অন্যান্য গ্যাসও বাতাসে ছড়িয়ে দেয়৷ ম্যাগমার রাসায়নিক ও ধাতব গঠনের উপর সেগুলির পরিমাণ ও মিশ্রণ নির্ভর করে৷

আগ্নেয়গিরির অন্য ক্ষতি

গবেষকরা গোটা বিশ্বের আগ্নেয়গিরির কার্বন-ডাই-অক্সাইডের নির্গমন পরীক্ষা করে বিশাল পার্থক্য লক্ষ্য করেছেন৷ কোন আগ্নেয়গিরি কত পরিমাণ সিওটু নির্গমন করবে, তা কিন্তু শুধু বেরিয়ে আসা লাভার পরিমাণের উপর নির্ভর করে না৷ মাটির নীচে এমন পাথুরে স্তর রয়েছে, যেখানে বিশাল পরিমাণ কার্বন জমা রয়েছে৷ সেই আধার উঠে আসা ম্যাগমাকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডে সমৃদ্ধ করতে পারে৷

যেমনটা ইটালির মাউন্ট এটনায় দেখা যায়৷ সেখান থেকে প্রতিদিন ৯,০০০ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়, যা গোটা বিশ্বের সব আগ্নেয়গিরির নির্গমনের প্রায় দশ শতাংশের সমান৷ পাথরের তরলের স্তরে এত পরিমাণ নির্গমন সম্ভব হতো না৷ ঠিক কীভাবে গোটা প্রক্রিয়া ঘটে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷

হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কিলাউয়েয়া আগ্নেয়গিরি সেই তুলনায় চার গুন বেশি লাভা উদ্গীরণ করে৷ অথচ সেখান থেকে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়৷ ইটালির এটনার মতো সেখানকার মাটির নীচে সম্ভবত কার্বনের বিশাল ভাণ্ডার নেই৷

কর্নেলিয়া বরমান/এসবি