1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কানকুন সম্মেলন শেষ, গঠিত হলো জলবায়ু তহবিল

১১ ডিসেম্বর ২০১০

অবশেষে সমঝোতা হলো কানকুনে৷ দুই সপ্তাহ ধরে আলোচনা করে ১৯০টি দেশের পরিবেশমন্ত্রীরা একটি সমঝোতায় পৌঁছতে সমর্থ হলেন৷ জলবায়ু আলোচনায় এটাকে একটা বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন অনেকেই৷

https://p.dw.com/p/QW3b
সম্মেলনের পুরোটা সময় আলোচকদের কেটেছে উত্তেজনায়ছবি: picture alliance / dpa

সমঝোতার খুঁটিনাটি

প্রথমত: ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড' নামে একটি সংস্থা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে৷ সংস্থাটির কাজ হবে ধনী দেশের কাছ থেকে টাকা এনে গরিব দেশগুলোকে দেয়া৷ ২৪ সদস্যের একটি দল এই ফান্ডটি পরিচালনা করবে৷ এজন্য ধনী ও গরিব দেশ থেকে সমান সংখ্যক লোক নির্বাচন করা হবে৷ প্রথম তিন বছর বিশ্বব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই সংস্থাটি৷ আর তহবিলের ক্ষেত্রে কোপেনহেগেন সম্মলনে প্রথম তিন বছরের জন্য যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের কথা বলা হয়েছিল সেটা তাড়াতাড়ি ছাড় করা হবে৷ এছাড়া ইইউ, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়েছে৷

দ্বিতীয়ত: কিয়োটো প্রটোকলের মেয়াদ বাড়ানোর কথা বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে ধনী দেশগুলো৷ এতদিন ধরে তারা বলে আসছিল এটা আর বাড়ানো হবেনা৷

তৃতীয়ত: কার্বন নিঃসরণ ‘উল্লেখযোগ্য হারে' কমানো প্রয়োজন বলে সবাই একমত হয়েছেন৷ কিন্তু সেটা কীভাবে করা হবে সে বিষয়ের কোনো উল্লেখ নেই সমঝোতা চুক্তিতে৷

সমঝোতায় পৌঁছনোর প্রক্রিয়া

অনেক কষ্টে এই সমঝোতায় পৌঁছানো গেছে৷ সম্মেলনের শেষ দু'দিন দিনরাত আলোচনা চলেছে৷ কারও চোখে ঘুম ছিলনা৷ সবাই একটা সমঝোতায় পৌঁছতে চাইছিল৷ এমনকি শেষ দিন শুক্রবার হলেও সেই দিন শেষ হয়ে রাত গড়িয়ে শনিবার সকালে গিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেন সবাই৷ আর সমঝোতার ব্যাপারে সবচেয়ে উদ্যোগী ছিলেন আয়োজক মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া এস্পিনিয়োসা৷ মূলত তিনিই এই সমঝোতাটি প্রস্তাব করেন৷ যেটা শুধুমাত্র বলিভিয়া বাদে সবাই মেনে নেয়৷ এস্পিনিয়োসার চেষ্টার কারণেই এ ধরণের একটি সমঝোতায় আসা গেছে বলে মনে করেন ভারতের পরিবেশমন্ত্রী জয়রাম রমেশ৷ এজন্য তিনি তাঁকে ‘দেবী' বলে আখ্যায়িত করেছেন৷ তবে কিয়োটো প্রটোকলের বিষয়টি নিয়ে জাপান কিছুটা বিরোধিতা করতে চাইছিল৷ কিন্তু শেষ মুহূর্তে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কানকে ফোন করে এ ব্যাপারে রাজি করান৷

সম্মেলন কী সফল?

পুরোপুরি সফল না হলেও অনেকটা সফল বলা যায়৷ মেক্সিকোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করছেন এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটা নতুন দিগন্তের সূচনা হলো৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান আলোচক টড স্টার্ন মনে করছেন এই সমঝোতা সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটা ভাল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে৷ পরিবেশবাদীরাও এই সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ অক্সফাম কর্মকর্তা টিম গোর বলছেন, এই সমঝোতার ফলে নতুন জীবনের শুরু হলো৷ বিশেষ করে ‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড' গঠিত হওয়ায় তিনি বেশ খুশি৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই