সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বোঝাপড়া
১২ জুলাই ২০১৭কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে মঙ্গলবার এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷ এই বোঝাপড়ার আওতায় দুই দেশ যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন ও সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেবে৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি বছর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন বন্ধ করার যে ডাক দিয়েছিলেন, কাতার সবার আগে সেই ডাকে সাড়া দিয়েছে বলে দাবি করছে৷
কাতারকে ঘিরে বর্তমান সংকট কাটাতে পারস্য উপসাগর অঞ্চল সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন৷ এমনকি তিনি খোলাখুলি কাতারের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন৷ টিলারসন বলেন, বর্তমান সংকটের ক্ষেত্রে কাতারের সরকার ‘ন্যায়সংগত' আচরণ করছে৷ অর্থাৎ, পরোক্ষভাবে তিনি সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশরের যৌথ অবস্থানের সমালোচনা করলেন৷ টিলারসন অবশ্য আশা করছেন যে, সংকটের সমাধান করতে কিছু অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে৷ তিনি কাতার থেকে প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কুয়েতে ফিরে গেছেন৷
বুধবার সৌদি আরবের জেদ্দা শহরে টিলারসন বিবাদমান সব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ এমনকি কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মহম্মদ বিন আবদুলরহমান বিন তানিও সেখানে উপস্থিত থাকবেন৷ তিনি বাকি দেশগুলির উদ্দেশ্যেও এমন চুক্তিতে স্বাক্ষর করার ডাক দিয়েছেন৷
ওয়াশিংটন ও দোহার এই ঘনিষ্ঠতা ভালো চোখে দেখছে না ৪ দেশের জোট৷ তারা কাতারের উপর চাপ বজায় রাখতে চায়৷ সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এসপিএ তাদের এক যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে৷ তাতে বলা হয়েছে, কাতারের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়৷ কাতারের কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন, সমর্থন ও আশ্রয় দেবার ক্ষেত্রে বাস্তবে কী করছে, এই ৪টি দেশ তার উপর কড়া নজর রাখবে৷ কাতারের অঙ্গীকারের উপর আস্থা রাখতে নারাজ এই দেশগুলি৷ মিশর জেদ্দাহ শহরে এই আলোচনার কথা ঘোষণা করে বলেছে, ৪টি দেশ ভবিষ্যতেও ঐক্যবদ্ধভাবে কাতারের সঙ্গে সমন্বয় করে চলবে৷
এদিকে মার্কিন প্রশাসনের কূটনৈতিক উদ্যোগকে জটিল করে তুলেছে ফাঁস হয়ে যাওয়া কিছু গোপন চুক্তির নথিপত্র৷ ২০১৩ ও ২০১৪ সালে সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েত এবং পরে বাহরাইন ও আমিরাত মিলে এক গোপন চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল৷ মিশর ও ইয়েমেনসহ এইসব দেশের বিরোধী ও বৈরি গোষ্ঠীগুলিকে মদত না দেবার ক্ষেত্রে বোঝাপড়া হয়েছিল সেই চুক্তিতে৷ কাতার সেই অঙ্গীকার লঙ্ঘন করায় বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করছে মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিএনএন৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)