কাঠের বাড়ি সমৃদ্ধ জার্মানির সুন্দর দশ শহর
জার্মানিতে প্রায় বিশ লক্ষ বাড়ি আছে, যেগুলোর প্রায় অর্ধেক কাঠ দিয়ে তৈরি৷ এমন বাড়ির বেশিরভাগেরই দেখা পাওয়া যাবে ছবিঘরে নাম করা দশটি শহরে৷
কুয়েডলিনবুর্গ
এই শহরে ১,৩০০-র বেশি কাঠের বাড়ি রয়েছে৷ ১৯৯৪ সালে শহরের পুরোনো অংশকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে৷
সেলে
এই শহরে কাঠের বাড়িগুলো একের পর এক এমনভাবে দাঁড়িয়ে আছে যেন লকেটে গাঁথা মুক্তা! এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বাড়িটি তৈরি হয়েছিল ১৫৩২ সালে, নাম হপেনার হাউস৷
ফ্রিৎসলার
গত কয়েক শতকে এই শহরের রূপে পরিবর্তন হয়নি৷ এখনো সেখানে গেলে কাঠের বাড়ি আর সরু লেনের দেখা পাওয়া যাবে৷ এসবের মাঝে পাওয়া যাবে ছোট রেস্তোরাঁ, আইসক্রিমের দোকান আর ক্যাফে – নীরব, শান্তির এক পরিবেশ৷
মোনশাউ
সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে ভরপুর হওয়ার কারণে মোনশাউকে ‘আইফেলের মুক্তা’ নামে ডাকা হয়৷ প্রায় তিনশ’র মতো তালিকাবদ্ধ ভবন আছে সেখানে৷ পাথর বাঁধানো পথ ধরে হাঁটতে গিয়ে আর্ট গ্যালারি আর বুটিকের সন্ধান মিলবে৷
ব্যার্নকাস্টেল-কুয়েস
মোজেল নদীর ধারে আঙুর খেত সমৃদ্ধ শহর ছিল ব্যার্নকাস্টেল৷ ১৯০৫ সালে এটি নদীর অপর পাশের কুয়েসের সঙ্গে মিলে যায়৷ ফলে শহরটির নাম এখন ব্যার্নকাস্টেল-কুয়েস৷ স্থান স্বল্পতার কারণে সেখানে বাড়িগুলো যতটা সম্ভব উঁচু করে তৈরি করা হয়েছে৷
এসলিঙেন
এই শহরে গেলেও অনেক আঙুর খেতের দেখা মিলবে৷ তের থেকে ষোলো শতকের মধ্যে নির্মিত ২০০-র বেশি কাঠের বাড়ি আছে সেখানে৷
ট্যুবিঙেন
বিশ্ববিদ্যালয় শহর বলে ট্যুবিঙেনের মোট বাসিন্দার তিনজনের একজন শিক্ষার্থী৷ মধ্যযুগে নির্মিত কাঠের বাড়িসহ শহরের সরু লেন, রাস্তা, সবকিছু ভালোভাবে সংরক্ষণ করে রাখা আছে৷
রটেনবুর্গ অব ডেয়ার টাউবার
কাঠের বাড়ি দেখার জন্য সম্ভবত জার্মানির সবচেয়ে পরিচিত শহর এটি৷ প্রতিবছর প্রায় ২০ লক্ষ পর্যটক সেখানে যান৷ ঐতিহাসিক ভবন, আঁকাবাঁকা চলার পথ, কাঠের বাড়ি, ৪২টি দরজা আর টাওয়ার সমৃদ্ধ মধ্যযুগীয় এই শহরের প্রাচীর – পর্যটক আকর্ষণের জন্য আর কি কিছু চাই!
বামব্যার্গ
ছবিতে শহরের পুরনো টাউন হল দেখতে পাচ্ছেন৷ রেগনিৎস নদীর মাঝে একটি কৃত্রিম দ্বীপ বানিয়ে সেখানে এটি নির্মাণ করা হয়েছে৷ টাউন হলের পেছনে সারি ধরে কাঠের অনেক বাড়ি রয়েছে, যেখানে একসময় জেলেরা বাস করতেন৷ বামব্যার্গে প্রায় ২,৪০০ তালিকাভুক্ত ভবন রয়েছে৷
স্টাডে
হামবুর্গের কাছে এই ছোট্ট শহরটি অবস্থিত৷ ‘জার্মান টিম্বার ফ্রেম রুট’-এর মধ্যে এই শহরটিও পড়বে৷ আপনি যদি এমন একের অধিক শহর দেখতে চান, তাহলে ঐ রুটের একটি অংশ দেখলেও চলবে৷ রুটটি প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ৷ উত্তরে এলবে নদী থেকে শুরু করে দক্ষিণ লেক কনস্টান্স পর্যন্ত এর ব্যাপ্তি৷