কস্টারিকার প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন চিনচিয়া
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০বললেন, এখন সময় আনন্দ করার৷
চিনচিয়া কস্টারিকার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট একই সঙ্গে ল্যাটিন আমেরিকার পঞ্চম নারী প্রেসিডেন্ট তিনি৷ সে দেশের নির্বাচন কমিশন সোমবার এই ফলাফল ঘোষণা করে৷ তিনি ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিবারেশন পার্টি (পিএনএল) থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ এই পার্টিরই বর্তমান প্রেসিডেন্ট নোবেল বিজয়ী অস্কার এরিয়াস৷ মোট ভোটারের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ৷ এদের মধ্য থেকে চিনচিয়া পেয়েছেন ৪৯ শতাংশ ভোট৷ কাছে ধারে অবশ্য নেই অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী৷ পরাজিতরা পিছিয়ে আছে দ্বিগুনেরও বেশী ভোটের ব্যবধানে৷ এর মধ্যে সিটিজেন একশন পার্টির (পিএসি) আরলিয়ার ওটন সোলিস পেয়েছেন ২৫ শতাংশ ভোট এবং লিবারেশন মুভমেন্ট পার্টির (এমএল) অটো গুয়েভারা পেয়েছেন ২১ শতাংশ ভোট৷
না, ভোটে কোন কারচুপির খরব পাওয়া যায়নি, হয়নি কোন জালিয়াতি, জানিয়েছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা৷ ফল ঘোষণার পরপরই তাই দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জানিয়ে দিলেন তাদের শুভেচ্ছা৷
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট চিনচিয়ার বয়স ৫০ বছর৷ জন্ম নিয়েছেন একটি রাজনৈতিক পরিবারে৷ সরকারী বিভিন্ন পদে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে কাজ করেছেন৷ তবে এই তো কিছু দিন আগে তাঁর কপালে চন্দন পড়ে! হয়ে যান ভাইস প্রেসিডেন্ট, সঙ্গে বিচার মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়৷ আর এর কিছুদিন পর দল তাকে নমিনেশন দিলো প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার জন্য৷ দল যোগ্য প্রার্থীকেই পছন্দ করেছিলেন! রাজধানী সান জোসের এক হোটেলে তাঁর সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, 'সত্যিই এটা একটা আনন্দঘন মুহূর্ত৷ আমার উপর তোমাদের যে আস্থা, সেই আস্থার কারনেরই আমি জিতেছি৷' বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জানান, তার মুক্তবাজার নীতি অব্যাহত রাখবেন চিনচিয়া৷ ব্রিটিশ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, এক পূত্র সন্তানের জননী চিনচিয়ার একেবারে পছন্দ নয় সমকাম, সমকামী বিবাহ; পছন্দ নয় গর্ভপাত এবং ধর্মের গোড়ামি৷
দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য এখন তাঁর একটি মাত্র স্বপ্ন... রপ্তানি এবং পর্যটনে ব্যাপকভাবে এগিয়ে যাওয়া দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া৷ শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি তাঁর অন্যতম এজেন্ডা৷
প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম