1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতা বইমেলায় লিটল ম্যাগাজিন

দেবারতি গুহ৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯

অন্যান্য বারের মতো এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার মুখ্য আকর্ষণ লিটল ম্যাগাজিনের স্টলগুলি৷ যেখানে ছোট বাজেটের উপর নির্ভরশীল, তরুণ প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা গড়ে তুলেছে ভিন্ন স্বাদের অসংখ্য পত্রিকা৷

https://p.dw.com/p/GoMk
মিলনমেলায় কলকাতা বইমেলাছবি: DW

বড় বড় প্রকাশনের বই কিনতে বা পড়তে বইমেলাতে না আসলেও চলে৷ কিন্তু, ছোট পত্রিকা কিনতে, নানা কবি, বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ করতে, আড্ডা মারতে অথবা আধুনিককালের সাহিত্য সমাজের সঙ্গে পরিচিত হতে - লিটল ম্যাগাজিনের স্টলগুলির জুড়ি নেই৷

তাছাড়া, লিটল ম্যাগাজিনের এই আলাদা জগৎটি তো আর আজকের নয়৷ সেই চল্লিশের দশকে বুদ্ধদেব বসুর ‘কবিতা' নামক পত্রিকা এবং বিষ্ণু দের সাহিত্যপত্রকে কেন্দ্র করে তখনকার নবীন বাঙালি সাহিত্য সমাজ দু়-ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল৷ এরপর সেই দূরত্ব দূর করার কাজে এগিয়ে এল কৃত্তিবাস-এর মতো পত্রিকা৷

অথচ এ-সব সত্ত্বেও বাণিজ্যিক পত্রিকার তুলনায় ছোট পত্রিকার সংখ্যা ছিল নগণ্য৷ ‘দেশ'-এর মতো পত্রিকার প্রচার পঞ্চাশের দশক থেকে ষাটের দশকে ৩ গুণ, আর সত্তরের দশকে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭ গুণে৷ শুধু তাই নয়, সত্তরের দশকে এসে ছোট পত্রিকার সংখ্যাও বেড়ে যায় অমূলকভাবে৷ আর সে ভাবেই একটা সময় তৈরী হয়ে যায় লিটল ম্যাগাজিনের আলাদা একটা বাজার, আলাদা একটা জায়গা এবং অবশ্যই অন্য রকম পড়ুয়া-গোষ্ঠী৷

এবছর ৩৩-তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলাতেও তাই তার কোন পরিবর্তন চোখে পড়ে না৷ লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে গেলেই প্রচুর সংখ্যক লোকের সঙ্গে আলাপচারীতার সুযোগ হয়৷ সুযোগ হয় ভাব এবং লেখার আদান-প্রদানেরও৷ জুটে যায় নতুন নতুন বন্ধু৷

এবারের বইমেলায় উল্লেখযোগ্য লিটল ম্যাগাজিনগুলি হলো – অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ‘বৃষ্টিদিন', মিতুল দত্তের ‘কবিয়াল', অংশুমান করের ‘নাটমন্দির', সুভাশিস চক্রবর্তির ‘অহর্নিশ', অনিল আচার্যের ‘অনুষ্টুপ', সুবোধ সরকারের ‘ভাষানগর' ইত্যাদি৷