1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতার চিকিৎসকদের পাশে দিল্লির ডাক্তাররা

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আবার পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়ালো দিল্লির রেসিডেন্টস ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। তারাও মনে করে, সরকারি হাসপাতাল পুরোপুরি নিরাপদ নয়।

https://p.dw.com/p/4khjS
দিল্লি প্রেস ক্লাবে পশ্চিমবঙ্গ ও দিল্লির জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক সম্মেলন।
দিল্লি ও কলকাতার জুনিয়র ডাক্তাররা মনে করেন, সরকারি হাসপাতালগুলি নিরাপদ নয়। ছবি: Rajib Chakraborty

রাজধানী দিল্লিতে একসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডাক্টর্স ফ্রন্ট এবং দিল্লির রেসিডেন্টস ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। 

সোমবার দিল্লির প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে দুই সংগঠনের নেতারা বলেছেন, সরকারি হাসপাতালগুলিকে তারা এখনো নিরাপদ বলে মনে করছেন না। শুধুমাত্র সিসিটিভি লাগিয়ে কোনো লাভ হবে না। যারা এই কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

দুই সংগঠনের চিকিৎসকরা বলেছেন, ''এটা শুধুমাত্র একটা ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নয়, দেশের সব নারী, যারা বাইরে কাজ করতে যান, তাদের নিরাপত্তার প্রশ্নও এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে।''

অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অফ গভর্নমেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণ গোস্বামী বলেছেন, ''সিবিআইয়ের কাছে আমাদের প্রথম দাবি হলো, তদন্তে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।''

চিকিৎসকদের দাবি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা ন্যায় বিচার চান।

আরজি কর কাণ্ডের পর দিল্লিতেও রেসিডেন্টস ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি পালন করেছেন। পরে সুপ্রিম কোর্ট কাজে ফেরার আবেদন জানানোয় তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে তারা আগেও জানিয়েছিলেন, তারা পশ্চিমবঙ্গের জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হলে, তারা আবার আন্দোলনে নামবেন।

আরজি কর নিয়ে জয়শঙ্কর

গত শুক্রবার জেনিভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেসসময় প্রবাসী ভারতীয়রা আরজি কর প্রসঙ্গ তোলেন।

তখন জয়শঙ্কর বলেন, ''আমার মনে হয়, সারা দেশে এমন কেউ নেই, যিনি এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হননি। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, রাস্তায় কী হচ্ছে। ঘটনা হলো, নারীর বিরুদ্ধে অপরাধ আমাদের দেশে একটা ইস্যু। অন্য দেশেও এটা বড় ইস্যু হতে পারে।''

তিনি বলেছেন, ''আমি প্রধানমন্ত্রীর কথাটা একবার মনে করিয়ে দিতে চাই। লালকেল্লায় তিনি বলেছিলেন,  আমাদের মেয়েরা যখন বেশি রাতে বেরোতে চায়, তখন নানান কথা বলি। অনেক প্রশ্ন করি। কিন্তু সেটা কি আমরা আমাদের ছেলেদের ক্ষেত্রে করি? নারীর নিরাপত্তার বিষয়টা আজ খুব বড় বিষয়।''

জিএইচ/এসিবি(এএনআই, পিটিআই)