কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচন
৯ মে ২০১৩বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল এবং দলটির প্রভাবশালী নেতা ইয়েদুরাপ্পার পদত্যাগ এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷
জাতীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা কংগ্রেসকে অক্সিজেন জোগাবে কর্নাটক বিধানসভার ফলাফল৷ মোট ২২৩টি আসনে ভোট হয়৷ তার মধ্যে কংগ্রেস ১২০টিরও বেশি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়বে৷ উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে রাজ্যে ক্ষমতা হারিয়েছিল কংগ্রেস৷ তারপর থেকে লাগাতার বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার গঠিত হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা চলতে থাকে রাজ্যে৷ ২০০৪ এবং ২০০৭ সালে জোট জটিলতায় সরকার ভেঙে যায়৷ বিজেপির অন্তর্কলহ এবং দুর্নীতির অভিযোগে গত চার বছরে তিন তিনবার বদল করতে হয় মুখ্যমন্ত্রী, খনি কেলেঙ্কারি যার অন্যতম৷
কর্নাটকে ২০১৩ সালের ভোটে শাসকদল বিজেপির ভরাডুবি কারণ দলের অন্তর্কলহ, অপশাসন এবং দুর্নীতির অভিযোগ৷ এই সব কারণেই রাজ্যে বিজেপির বলিষ্ঠ নেতা বি.এস ইয়েদুরাপ্পাকে পদত্যাগ করতে হয়৷ রাজ্যের শক্তিশালী লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের অবিসম্বাদী নেতা ইয়েদুরাপ্পা দল থেকে বেরিয়ে কেজেপি নামে নিজস্ব দল গঠন করেন৷ নির্বাচনে তাঁর দল বিশেষ সুবিধা করতে না পারলেও বিজেপির ভোট কাটতে সক্ষম হয়েছে৷ বিজেপি শহরে এবং গ্রামে কোথাও দাঁড়াতে পারেনি৷ নরেন্দ্র মোদী গুজরাটের বাইরে জনমনে দাগ কাটতে ব্যর্থ হয়েছেন৷ বলা বাহুল্য, কর্নাটককে কেন্দ্র করেই দক্ষিণ ভারতে বিজেপি তার উপস্থিতি মজবুত করতে চেয়েছিল৷
তবে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করেন, কর্নাটকের ফলাফল আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না৷ অন্যদিকে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করেন, বিজেপির মতাদর্শ আমজনতা প্রত্যাখ্যান করেছে, যেটা আগামী নির্বাচনেও প্রতিফলিত হবে৷ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি অবশ্যই একটা বড় ইস্যু৷ সমাজকেই তার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে৷ কংগ্রেসের এই জয়ের প্রধান কৃতিত্ব তিনি দেন রাহুল গান্ধীকে৷
অবশ্য কর্নাটকের জন্য কংগ্রেসকে এমন মুখ্যমন্ত্রী মনোনীত করতে হবে যিনি দিতে পারবেন এক স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন প্রশাসন৷ নাহলে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসকেও তার দাম দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই দৌড়ে আছেন একাধিক প্রার্থী৷ রাজ্যস্তরে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি এবং বিধানসভায় কংগ্রেস দলনেতা৷ এছাড়া, কেন্দ্রীয় স্তরে আছেন দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ শ্রমমন্ত্রী মল্লিকার্জ্জুন খারগে এবং পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী বিরাপ্পা মইলি৷