1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনা টিকা না নিলে শাস্তি না প্রণোদনা?

৫ জুলাই ২০২১

জার্মানি তথা ইউরোপে জোগান সত্ত্বেও করোনা টিকার চাহিদা কমতে থাকায় শাস্তি অথবা প্রণোদনার মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচিতে গতি আনার ডাক বাড়ছে৷ এদিকে সাইপ্রাস ও কাটালুনিয়াও ডেল্টার কবলে পড়েছে৷

https://p.dw.com/p/3w1ne
ছবি: Ying Tang/NurPhoto/picture alliance

ইউরোপের কিছু প্রান্তে করোনা ভাইরাসের ছোঁয়াচে ডেল্টা সংস্করণের প্রকোপ বেড়ে চলায় দুশ্চিন্তা বাড়ছে৷ করোনা টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও বাড়িয়ে সংক্রমণের নতুন ঢেউ এড়ানোর চেষ্টা করছে জার্মানির কিছু দেশ৷ কিন্তু টিকার সরবরাহ আগের তুলনায় বেড়ে গেলেও অবশিষ্ট মানুষের মধ্যে টিকা নেবার তাগিদ বাড়ানো সব ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না৷ এমনকি টিকা নেবার দিনক্ষণ স্থির করেও উপস্থিত হচ্ছেন না অনেকে৷

এই অবস্থায় জার্মানির রাজনৈতিক মহলে এমন মানুষের জন্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দাবি উঠছে৷ বিশেষ করে ঠিক সময়ে টিকার দ্বিতীয় ডোজ না নিয়ে সুরক্ষা অসম্পূর্ণ রাখার পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ শাসক জোটের শরিক দলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কার্ল লাউটারবাখ টিকার অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিলের শাস্তি হিসেবে আর্থিক জরিমানার ডাক দিয়েছেন৷ তার মতে, এমন ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আচরণের কারণে মূল্যবান টিকা ফেলে দিতে হতে পারে৷ তিনি নিজে এক টিকাদান কেন্দ্রে কাজ করে এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন৷ উল্লেখ্য, জার্মানিতে ইতোমধ্যে ৫৫ শতাংশেরও বেশি মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন এবং প্রায় ৪০ শতাংশ সব ডোজ পেয়ে গেছেন৷

জার্মানিতে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে করোনা সংক্রমণের গড় সাপ্তাহিক হার পাঁচে নেমে আসার ফলে অনেক মানুষ করোনা সংকট পুরোপুরি কেটে গেছে বলে মনে করছেন৷ জনজীবন আগের তুলনায় অনেক বেশি স্বাভাবিক হয়ে ওঠায় টিকা নেবার তাগিদ অনুভব করছেন না কিছু মানুষ৷ টিকা সম্পর্কে সংশয়বাদীরাও এই কর্মসূচির আওতার বাইরে রয়েছেন৷ তাই শাস্তির বদলে প্রণোদনার মাধ্যমে দ্রুত আরও বেশি মানুষের মনে টিকা সম্পর্কে উৎসাহ বাড়ানোর প্রস্তাব দিচ্ছেন কিছু রাজনৈতিক নেতা৷ সিডিইউ দলের নেতা ও আগামী নির্বাচনে চ্যান্সেলর পদপ্রার্থী আরমিন লাশেট বলেন, জরিমানার মাধ্যমে সংহতিবোধ জাগানো যায় না৷ জার্মানির এক চিকিৎসক সংগঠনেক প্রধান টিকাপ্রাপ্ত মানুষের জন্য সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার ডাক দিয়েছেন৷

ব্রিটেন, রাশিয়া ও পর্তুগালের পর সাইপ্রাস ও স্পেনের কাটালুনিয়া প্রদেশেও ডেল্টা ভেরিয়েন্টের কারণে করোনা সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলায় সে সব জায়গায় ভ্রমণ সম্পর্কে সতর্কতা জারি করছে জার্মানিসহ অনেক দেশ৷ গ্রীষ্মের ছুটির মরসুমে সংক্রমণ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে৷ ইউরোপীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ইসিডিসি-র মতে, আগস্ট মাসের শেষের মধ্যে ইউরোপে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ডেল্টার অনুপাতের মাত্রা হবে প্রায় ৯০ শতাংশ৷ তাই টিকাদান কর্মসূচির গতি আরও না বাড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ইউরোপের পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, এপি)