করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিশেহারা আফগানিস্তান
মিডিয়া কভারেজ নেই। নেই আন্তর্জাতিক সাহায্য। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যুমিছিল আফগানিস্তানে। তথ্য গোপনের অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে।
ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা
রাজধানী কাবুলের একটি প্রথম শ্রেণির হাসপাতালে বেডের সংখ্যা ১৫০। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ১৭০ জন করোনা রোগী ভর্তি করেছেন তারা। আর জায়গা নেই। প্রতিদিন শয়ে শয়ে রোগীকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।
অক্সিজেন নেই
কাবুলের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, হাসপাতালে একসঙ্গে ৩০জনের বেশি রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া যাচ্ছে না। বাইরেও মিলছে না অক্সিজেন।
টেস্ট হচ্ছে না
সরকারি হিসেবে আফগানিস্তানে করোনার ঢেউ ভয়াবহ নয়। কিন্তু চিকিৎসকদের বক্তব্য, টেস্ট হচ্ছে না বলে রোগ ধরা পড়ছে না। হাজার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।
ভারতীয় সংস্করণের হামলা
করোনার ভারতীয় সংস্করণ বা ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন আফগান। জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কাবুলের শুধুমাত্র একটি হাসপাতালে দিনে ১৪-১৫ জন করে মারা যাচ্ছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
হচ্ছে না টিকাকরণ
এখনো পর্যন্ত মাত্র ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশই ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার। চিন ৭০ লাখ টিকা পাঠালেও টিকাকরণ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
খবর নেই মিডিয়ায়
আফগানিস্তানের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছেছে, কিন্তু গণমাধ্যমে তা নিয়ে কোনো খবর প্রচার হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিও খবর প্রচার করছে না বলে অভিযোগ। ফলে মিলছে না বিদেশি সাহায্য।
চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা। ডিডাব্লিউকে এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাও জানা যাচ্ছে না। কারণ অধিকাংশ রোগীর কোনো চিকিৎসাই হচ্ছে না। টেস্টও হচ্ছে না।
মুখে মাস্ক নেই
সরকার স্কুল, কলেজ, প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ করলেও বাজার খোলা। মানুষ ভিড় করছেন সেখানে। কারো মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। প্রশাসনও উদাসীন।