করাচিতে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত কমপক্ষে ২৫
১৮ অক্টোবর ২০১০শনিবার রাত থেকে শুরু হয় হত্যাযজ্ঞ৷ পাকিস্তানের দক্ষিণের শহর করাচির কয়েক জায়গায় বন্ধুকধারীদের গুলিতে প্রাণ হারায় সাধারণ মানুষ৷ রোববারের মধ্যে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ২৫৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স অবশ্য জানিয়েছে নিহতের সংখ্যা ২৯৷
হত্যাকাণ্ডের কারণ
মাস দুয়েক আগে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন করাচির সাংসদ রেজা হায়দার৷ ক্ষমতাসীন মুত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্ট কিংবা এমকিউএম এর নেতা ছিলেন তিনি৷ তাঁর সেই শূন্য আসনে রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ কিন্তু তার একদিন আগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় এমকিউএম এর প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি৷ এরপরই বন্দুকধারীদের একাধিক হামলার খবর শোনা যায়৷
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড
অবস্থাদৃষ্টে তালেবান কিংবা কোন জঙ্গি গোষ্ঠীকে এই হামলার জন্য দায়ী করা যাচ্ছেনা৷ কেননা, এমকিউএম এবং এএনপি পরস্পরকে দায়ী করেছে এই হত্যাযজ্ঞের জন্য৷ এমকিউএম এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, এএনপি উপনির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেওয়ার পর পরই দলটির সন্ত্রাসীরা নিরপরাধ মানুষকে হত্যা শুরু করে৷ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচাল করতেই এসব হামলা চালানো হয়েছে৷ অন্যদিকে, এএনপি'র দাবি ছিল, নির্বাচনের দিন সেনা মোতায়েনের৷ সরকার সে দাবি না মানায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় দলটি৷
সরকারি বয়ান
পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক করাচির স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন৷ একইসঙ্গে তিনি সকল রাজনৈতিক দলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন৷ অন্যদিকে, সিন্ধু প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুলফিকার মির্জা জানিয়েছেন, সহিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
করাচিতে সহিংসা নতুন নয়
মাঝে মাঝেই রক্তাক্ত হয় করাচির রাজপথ৷ সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একরকম ব্যর্থ পাকিস্তান সরকার৷ বাণিজ্যিক নগরী ছাড়াও আফগানিস্তানে অবস্থানরত বিদেশি সেনাদের রসদ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ পথ করাচি৷ আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাই সহিংসার এই খবরে বেশ উদ্বিগ্ন৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম