ওয়াল্ড্ ইন! - বার্লিন দেয়াল নিয়ে বিশেষ এনিমেশন
২ জুলাই ২০০৯বিভক্ত জার্মানির প্রকৃতরূপ তুলে ধরতে এইচডিটিভি কম্পিউটার এনিমেশনটিতে সেসময়কার বার্লিনের ও দুই জার্মানির আংশিক সীমান্তের খুঁটিনাটি ধারণের চেষ্টা করা হয়েছে৷ ইতিহাসবিদ ও টিভি নির্মাতারা এনিমেশনে নতুন করে সৃষ্টির প্রয়াস পেয়েছেন আশির দশকের প্রথম দিককার সেই নো-ম্যানস ল্যান্ড ও সীমান্ত এলাকা৷
ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক এরিক বেটারমান বলেন, পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির সীমান্তে এবং বার্লিনে আমাদের কষ্ট ও ভোগান্তির কথা মানুষকে জানাতে চেয়েছি আমরা৷
ডয়চে ভেলে টিভির প্রধান ক্রিস্টফ লানৎস বলেন, বিভক্ত জার্মানি যাদের কাছে দূরের আর দশটা ইতিহাসের মতোই সেসব তরুণ-তরুণীর জন্যই বিশেষ করে এই এনিমেশন৷
সেসময়ের প্রকৃত সীমান্ত চিত্র নিখুঁতভাবে তুলে ধরার চেষ্টায় এনিমেটররা ঐতিহাসিক নমুনা অনুসারে এক লাখ ৩০ হাজার চিত্র তৈরি করেছে৷ উচ্চমানের চিত্রশৈলীর জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তের জন্য অনেকগুলো কম্পিউটারের প্রায় লাখো ঘন্টা সময় লেগেছে৷
এনিমেশন চিত্রটির প্রশংসা করে বার্লিন ওয়াল ফাউন্ডেশনের পরিচালক আক্সেল ক্লাউসমাইয়ার বলেন, সীমানা ভার্চুয়ালি উপলব্ধি করা যায়৷ এথেকে প্রতি বছর ব্যার্নাওয়ার স্ট্রাসে মেমোরিয়ালে আসা তিন লাখের মতো দর্শনার্থীও উপকৃত হবে৷
ডয়চে ভেলে টিভি সারা বিশ্বে জার্মান, ইংরেজি, আরবি ও স্প্যানিশ ভাষায় এনিমেশনটি প্রচার করবে৷ বার্লিন ওয়াল ফাউন্ডেশনের মেমোরিয়ালে এটি পাওয়া যাবে৷ বিশ্বের নানা জায়গায় জার্মান দূতাবাস ও গ্যোয়েটে ইন্সটিটিউটেও এটি প্রদর্শন করা হবে৷
জার্মান ইতিহাস নিয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠানকে বিনা মূল্যে এই এনিমেশন সরবরাহ করবে ডয়চে ভেলে৷
প্রতিবেদক: নাসিরুদ্দিন খোকন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক