এসব জিনিস দিয়ে কসমেটিকস তৈরি হয়!
রূপচর্চায় কসমেটিকস অপরিহার্য৷ যেসব জিনিস ব্যবহার করে নারী-পুরুষ সকলে নিজেকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চান, সেসব তৈরিতে কী কী ব্যবহার করা হয়? জেনে নিন আজকের ছবিঘরে৷
অপরিশোধিত তেল
ক্রিম, লোশন বা সাবান তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরি এক ধরণের উপাদান যার নাম প্যারাফিন৷ বর্ণ, গন্ধহীন এই উপাদান ত্বকের ওপর একটি আবরণ তৈরি করে ত্বককে মসৃণ করে৷ কসমেটিকস বা প্রসাধনী উৎপাদন কোম্পানিগুলোর মতে, প্যারাফিন ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়, তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন এর তারতম্যের কারণে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে৷
চিংড়ি, কাঁকড়া বা পোকামাকড়ের খোসা!
শ্যাম্পু, টুথপেস্ট ইত্যাদির মতো কসমেটিকসে ব্যবহার করা হয় ‘চিটোসান’ নামের একটি উপাদান, যা কিনা চিংড়ি মাছ, কাঁকড়া এবং কিছু পোকামাকড়ের খোসা থেকে তৈরি হয়৷
মাছের আঁশ
ঠোঁট আর্দ্র রাখতে আমরা যে ‘লিপ গ্লস’ ব্যবহার করি তা তৈরি করতে বেশ কিছু জিনিসের দরকার হয়৷ মাছের আঁশ না হলে লিপ গ্লস তৈরি করা অসম্ভব৷
কোষের যৌবন ধরে রাখতে বীর্য!
ত্বকের কোষকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখতে যেসব অ্যান্টি-এজিং কসমেটিকস ব্যবহার করা হয় তা তৈরি করা হয় বিভিন্ন প্রাণীর বীর্য থেকে৷
প্রাণীর চর্বি
প্রাণীর চর্বি প্রায় সব ধরণের কসমেটিকস তৈরিতেই ব্যবহার করতে হয়৷ বিশেষ করে সাবান তৈরির কথা তো চর্বি ছাড়া ভাবাই যায়না৷
অ্যালকোহল
বডি লোশন, ক্রিম, আফটার শেভ লোশন, চুলে দেয়ার রং বা মাউথওয়াশ- অনেক কসমেটিকসেই অ্যালকোহল থাকে, অর্থাৎ এসব তৈরির উপাদানে অ্যালকোহল থাকে৷ শতকরা প্রায় ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রেই অ্যালকোহল ব্যবহৃত হয়৷ অ্যালকোহল ব্যবহার করার ফলে চামড়া বা চুল শুকিয়ে যায়, ফেটেও যায় কখনো কখনো৷ তারপরও এর ব্যবহার থামছেনা৷
অ্যালুমিনিয়াম
অনেক সময়ই পারফিউম বা ডিওডোরেন্টের ক্যান তৈরি হয় অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে৷ এর কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া হয়, অন্য কিছু সমস্যাও দেখা দেয়৷