1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এশিয়াতে কেন লাখ লাখ মানুষ রাষ্ট্রহীন?

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯

এশিয়ার কয়েক লাখ মানুষের কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেই৷ ফলে কোনো ধরনের সুরক্ষা বা আইনি অধিকার ছাড়াই মানবেতরভাবে বেঁচে থাকতে হচ্ছে তাদের৷

https://p.dw.com/p/3QRDH
Bangladesch Rohingya Flüchtlinge Cox’s Bazar | Protest gegen Rückführung
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Yasin

ভারতেরর উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বর্তমানে ১৯ লাখ মানুষ নাগরিকত্বের স্বীকৃতির জন্য লড়াই করছেন৷আসামের নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-র তালিকায় তিন কোটি ১১ লাখ মানুষের নাম থাকলেও এই ১৯ লাখ বাদ পড়েছেন৷ ওই তালিকায় যাদের নাম নেই, তাদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে৷

গত ৮ সেপ্টেম্বর আসাম সফর করে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার অনুপ্রবেশকারীদের একে একে বেছে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দেবে৷''

ভারতের সমাজবিজ্ঞানী এবং জাতিসংঘের সাবেক কর্মী অনুরাধা সেন মুখোপাধ্যায় এক ব্লগে লিখেছেন, ‘‘এনআরসি প্রক্রিয়া রাষ্ট্রহীনতার সঙ্গে জড়িতদের দীর্ঘস্থায়ী দুর্ভোগের কারণ হতে পারে৷'' 

আসামে ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে

মন্ত্রীর বক্তব্য এবং মুখোপাধ্যায়ের সতর্কতা এটা ভাবনার খোরাক যোগায় যে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ভাগ্যে আসলে কী আছে৷ কারণ, মিয়ানমার সরকার এদের ‘বাঙালি' নামে অভিহিত করে আর বাংলাদেশ তাদের আশ্রয় দিয়ে ‘অবৈধ অভিবাসী' হিসেবে বিবেচিত করছে৷

বিশ্বের অন্যতম নিপীড়িত সংখ্যালঘুগোষ্ঠী হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিবেচনা করা হচ্ছে, বাস্তবেও এরা রাষ্ট্রহীন৷ জাতিসংঘের পাশাপাশি বিশেষজ্ঞরাও একমত হয়েছেন, এই রাষ্ট্রহীনতা রোহিঙ্গাদের অনিশ্চিত পরিস্থিতিকে আরো বাড়িয়ে তুলছে৷

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে ২০১৩ সাল থেকে রোহিঙ্গাদের নিপীড়ন করে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হচ্ছে৷ 

‘পরিকল্পিতভাবে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে’

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান আলাদা হওয়ার পর এশিয়াতে অভিবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়৷  হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ সুনীল এস অমৃত বলেন, সাম্রাজ্যের পতন এবং নতুন সীমানা নির্ধারণের পর অসংখ্য শরণার্থীর জন্ম হয়৷ সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও অনুমান করা হয় ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন মানুষ এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যায়৷

এশিয়াজুড়ে সাংস্কৃতিক এবং ভাষাতত্ত্বের ভিত্তিতে জাতিগত ও ধর্মীয় রাষ্ট্রের জন্ম হয়৷ নতুন রাষ্ট্রগুলোকে অল্প সময়ের মধ্যে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়ন করতে হয়েছিল, সে সময় তারা উপনিবেশিক আইনগুলো গ্রহণ করায় এই সমস্যার উদ্ভব হয়৷

স্বাধীনতার পর এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ আইন অনুযায়ী তাদের নাগরিকদের সন্তানদেরকেই কেবলমাত্র নাগরিকত্ব দিয়েছিল৷ ফলে ওইসব দেশে থাকা ওই সময়কার শরণার্থীদের ভাগ্য আর বদল হয়নি৷

আইন বিশেষজ্ঞ অলিভিয়ার ভনক সম্প্রতি এশিয়ার নাগরিকত্ব নিয়ে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ ‘সিটিজেনশিপ ইন এশিয়া'-তে লিখেছেন, ‘‘এশিয়া সম্ভবত একমাত্র মহাদেশ যেখানে নাগরিকত্বকে সবচেয়ে ঈর্ষান্বিতভাবে সুরক্ষিত করা হয়েছে৷''

রডিয়ন এবিবিহাউসেন/এসআই/এসিবি 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান