এর্দোয়ান ‘নতুন হিটলার’?
২৯ মে ২০১৮সপ্তাহান্তে তাঁরা ফ্রান্সের কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন৷ দক্ষিণাঞ্চলীয় আভিনিয়ঁ শহরে সমর্থকরা একটি দোকানে সাঁটানো ঐ ম্যাগাজিনের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করলে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল৷ ঐ দোকানের মালিক পরে ‘ল্য পোঁয়া’কে জানান, পোস্টার না খুললে তাঁর দোকান পুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷
‘ল্য পোঁয়া’ ম্যাগাজিনের বর্তমান সংস্করণে এর্দোয়ানের নীতি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে৷ সঙ্গে আছে আলোচিত ঐ সম্পাদকীয়৷
বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ‘ল্য পোঁয়া’ তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, ‘‘এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক মাধ্যমে আমাদেরকে হয়রানি, অপমান ও ভয় দেখানোর পর এখন এর্দোয়ানের সমর্থকরা বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের বৈচিত্র্যতার উপর হামলা করছে৷’’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁও বিক্ষোভের সমালোচনা করে এটি ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন৷ এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য যে, বাকস্বাধীনতার শত্রুদের পছন্দ না হওয়ায় দোকান থেকে ল্য পোঁয়া সরিয়ে ফেলতে হবে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মূল্য দিয়ে মাপা যায় না৷ তবে এটা না থাকলে সেটাই স্বৈরাচারী ব্যবস্থা৷’’
সেন্সরশিপ রপ্তানি!
তুরস্কে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তুরস্কের সঙ্গে জার্মানিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ব্যর্থ হওয়া ঐ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে কয়েক হাজার সেনাসদস্য, পুলিশ কর্মকর্তা, বিচারক ও শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷
‘অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ’-এ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়ক প্রতিনিধি হার্লেম ডেসির বলেন, এর্দোয়ান এখন সেন্সরশিপের বিষয়টি অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন৷ এটি ‘একেবারে অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
জেডএইচ/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)
গতবছরের ২৭ জুলাই এর ছবিঘরটি দেখুন...