এমা ওয়াটসনের জানা-অজানা কথা
হ্যারি পটার সিরিজের মুভিগুলোতে ‘হার্মায়নি গ্র্যানজার’ এর ভূমিকায় অভিনয়ের জন্য তিনি পেয়েছেন বিশ্ব পরিচিতি৷ বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত৷
একের পর এক সাফল্য
সফল ব্যক্তিদের কথা বলতে গেলে এমা ওয়াটসনের কথা বলতেই হয়৷ এই ছবিটি ২০১৪ সালে নুআহ ছবির প্রিমিয়ারে তোলা৷ ১৯৯০ সালে প্যারিসে জন্ম এমা’র৷ পরে অক্সফোর্ডশায়ারে মা’র সাথে চলে আসেন৷ তাঁর মঞ্চ প্রশিক্ষক এমা’র মাঝে প্রতিভা দেখতে পান এবং ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার’স স্টোনের’ জন্য তাঁকে সুপারিশ করেন৷ এমা’র বয়স তখন মাত্র ৯ বছর৷
‘হার্মায়নি গ্র্যানজার’
অডিশনের ফল কি হয়েছিল তা সবার জানা৷ কিন্তু এটা হয়ত জানেন না ‘হার্মায়নি গ্র্যানজার’ চরিত্রটি পাওয়ার জন্য এমাকে ৪,০০০ প্রতিযোগীর সাথে লড়াই করতে হয়েছিল৷ হ্যারি পটার সিরিজের প্রতিটি মুভির সাফল্য এমাকে এনে দেয় বিশ্বখ্যাতি৷
প্রায় ১৫ বছর আগে শুরু
হগওয়ার্টস স্কুলে যাদুবিদ্যা শিখত তিন বন্ধু - হ্যারি, রন আর হার্মায়নি৷ একের পর এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয় এই তিন বন্ধু৷ ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে সিরিজের ৮টি চলচ্চিত্র৷ আর এই এক দশক ধরে তিন বন্ধুকে নিজেদের আদর্শ হিসেবে জনপ্রিয়তার আসনে বসিয়েছেন হ্যারি পটার ভক্তরা৷
সফলতার জননী
তবে এমা’র এই বিশাল সাফল্যের জন্য যদি কাউকে ধন্যবাদ দিতে হয়, তবে তা হ্যারি পটার উপন্যাসের স্রষ্টা জে. কে রাওলিং এর পাওনা৷ যিনি নিজেও এই চলচ্চিত্র নির্মাণের আগে অচেনাই ছিলেন৷
ভক্তদের পছন্দ
ভক্ত এবং সমালোচক দুদলের কাছেই সমান জনপ্রিয় এমা৷ ২০০২ সালে ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ফিলোসফার’স স্টোন’এর জন্য ‘ইয়ং আর্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ পান তিনি৷ এছাড়া পেয়েছেন আরো কিছু পুরস্কার৷
মডেলিং
বর্তমানে মডেলিং এও জনপ্রিয় মুখ এমা৷ ২০০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ বিখ্যাত ব্র্যান্ড বারবেরি’র মডেল ছিলেন তিনি৷
ইকো-ফ্যাশনের মডেল
পরিবেশবান্ধব পোশাকের মডেল হিসেবেও কাজ করেছেন এমা৷ ছবিটি ‘ইকো লেবেল’ এর ২০১১ সালের স্প্রিং/সামার ক্যাটালগ থেকে নেয়া৷
চরিত্রের বৈচিত্র্য
দ্য ব্লিং রিং, মাই উইক উইথ মেরিলিন, দ্য পার্কস অব বিয়িং আ ওয়াল ফ্লাওয়ার, দিস ইস দ্য এন্ড এবং নুআহ - এই ছবিগুলোতে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এমা৷
বাস্তব জীবনে ভালো ছাত্রী
হ্যারি পটার ছবিতে হার্মায়নি যেমন ভালো ছাত্রী ছিল, বাস্তব জীবনেও ঠিক তাই৷ ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য নিয়ে পড়া শুরু করেন তিনি এবং ২০১১ সালে অক্সফোর্ডে পড়ালেখা চালিয়ে যান৷ তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক৷ এটা ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমা’র সমাবর্তনের ছবি৷
জাতিসংঘের শুভেচ্ছা দূত
২০১৪ সালের জুন থেকে এমা ওয়াটসন জাতিসংঘের নারী বিষয়ক কর্মকাণ্ডের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন, যেখানে নারী ও মেয়েদের অধিকার নিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন তিনি৷