1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এক ঘণ্টার ব্যবধানে দুই কারাবন্দির মৃত্যু

৪ এপ্রিল ২০২২

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই বন্দি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক ঘণ্টার ব্যবধানে হাসপাতালে মারা গেছেন বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ৷ তবে তাদের মৃত্যুর কারণ ময়না তদন্তের পর জানা যাবে৷

https://p.dw.com/p/49PwF
প্রতীকী ছবিছবি: Colourbox

তাদের একজন ৪৫ বছর বয়সি রফিক উদ্দিন, বাড়ি চন্দনাইশের ধোপাছড়ি ইউনিয়নে৷ অপরজন ৪০ বছর বয়সি বাবুল মিয়া ছিলেন হাছনদণ্ডীর বাসিন্দা৷ রফিক মারামারি এবং বাবুল মাদক মামলায় কারাগারে ছিলেন৷

ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, রফিক ও বাবুল দুজনই চন্দনাইশ থানার আলাদা দুটি মামলায় কারাগারে ছিলেন৷ তাদের মধ্যে রফিক গত ২৭ মার্চ এবং বাবুল গত বছরের ১৮ নভেম্বর কারাগারে আসেন৷ সোমবার ভোরে ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে দুইজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়, সেখানে তারা মারা যান৷

জেলার তারিকুল বলেন, ‘‘বাবুল রোজা রাখার জন্য সেহেরি খেয়েছিল৷ বিছানায় যাওয়ার পর বুকে ব্যথা অনুভব করার কথা জানান৷ আর রফিক অসুস্থতা অনুভব করায় তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়৷ সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়৷”

তবে রফিকের পরিবারের দাবি, গত ২৬ মার্চ তার ওপর হামলা করে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা৷ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার মামলা না নিয়ে উল্টো তাকে আসামি করে কারাগারে পাঠায়৷

রফিকের বড় ভাই জামাল উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘ধোপাছড়ি ইউনিয়নের চিড়িংঘাটা এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন রফিক৷ গত ২৬ মার্চ সকালে তাদের চাচীর জানাজা শেষে ফেরার পথে স্থানীয় ‘ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে' রফিকের ওপর হামলা হয়৷ স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বিকালে রফিক থানায় মামলা করতে যায়৷ কিন্তু পুলিশ তার মামলা না নিয়ে, অপর পক্ষের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়৷ ওই রাতে থানা হাজতে রাখার পর পরদিন কারাগারে পাঠানো হয়৷’’

ভাই জামালের অভিযোগ, হামলায় আহত তার ভাইয়ের চিকিৎসা না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়৷ সেখানে ‘আরও বেশি অসুস্থ হয়ে' রফিকের মৃত্যু হয়েছে৷

তবে জামালের অভিযোগ অস্বীকার করে চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘রফিকের মামলাও নেওয়া হয়েছে৷ দুই পক্ষের মারামারির ঘটনায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছিল৷ অপর পক্ষের মামলায় তিনি আসামি হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷’’

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীমও অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রফিকের বাড়ি ও তার বাড়ি একই ওয়ার্ডে৷ তিনি বলেন,‘‘আমাদের এক চাচী মারা যাওয়ায় গত ২৬ মার্চ আমি জানাজায় গিয়েছিলাম৷ স্বাধীনতা দিবসে ফুল দেওয়ার জন্য জানাজা শেষে দ্রুত ইউনিয়ন পরিষদে চলে যাই৷ সেখানে গিয়ে শুনেছি দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে৷ আমি সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই, পুলিশ গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়৷

‘‘ঝামেলা শেষে দুই পক্ষই আমার কাছে এসেছিল৷ তাদের মামলা করার পরামর্শ দিয়েছিলাম৷ তারা উভয়েই মামলা করেছে৷’’

‘‘রফিক হামলায় আহত হয়েছিলেন কিনা সেটা আমাদের জানা নেই৷ দুজনেরই ময়নাতদন্ত হবে৷ প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে৷’’  একথা বলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার দেওয়ান মো. তারিকুল ইসলাম৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) 

গত বছরের ছবিঘরটি দেখুন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য