1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজউত্তর অ্যামেরিকা

এই প্রথম চাঁদে যাবেন কোনো নারী

৪ এপ্রিল ২০২৩

সোমবার চন্দ্রাভিযানের দল ঘোষণা করেছে নাসা। বহু দিন পর চাঁদে আবার মানুষের পা পড়বে।

https://p.dw.com/p/4PfIS
চন্দ্রাভিযানের মহাকাশচারীরা
ছবি: Josh Valcarcel/NASA/dpa/picture alliance

একাধিক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটতে চলেছে একসঙ্গে। এই প্রথম চাঁদে পা পড়বে কোনো নারীর। এই প্রথম চাঁদে যাচ্ছেন কোনো কৃষ্ণাঙ্গ। এই প্রথম চাঁদে যাবেন কোনো ক্যানাডার নাগরিক।

প্রায় ৫০ বছর পর আবার চাঁদে মানুষের পা পড়তে চলেছে। এর আগে মঙ্গলে একাধিক অভিযান হলেও চাঁদে যাননি কোনো মানুষ। আগামী বছর নাসা চাঁদের যে মিশন তৈরি করছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে আরটেমিস টু লুনার মিশন।

নাসার তিনজন মহাকাশযাত্রী এই মিশনে যোগ দেবেন। তারা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাগারে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশিদিন মহাকাশের গবেষণাগারে সময় কাটিয়েছেন চাঁদে পা দিতে যাওয়া নারী। সব মিলিয়ে তিনি সেখানে ছিলেন ১১ মাস। বস্তুত, এর আগে শেষ কোনো মহাকাশচারী চাঁদে গেছিলেন ১৯৭২ সালে। সেই ঐতিহাসিক চন্দ্রাভিযানের নাম ছিল অ্যাপোলো এক্সপ্লোরেশন।

চাঁদে পৌঁছে প্রথমে তার কক্ষপথ ঘুরে দেখবেন মহাকাশচারীরা। তারপর তারা চাঁদে পা দেবেন। বস্তুত, এর ঠিক পরই আরো একটি চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা আছে নাসার। সে বিষয়ে অবশ্য এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

নাসা জানিয়েছে, এটি একটি ঐতিহাসিক মিশন হতে চলেছে। এরপর থেকে চাঁদে যেতে চাওয়া ব্যক্তিদের আরটেমিস প্রজন্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। এদিন মহাকাশচারীদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছে নাসা। তারা সকলেই স্পেস স্যুট পরে ছিলেন।

নাসার এই ঘোষণার পর মহাকাশচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। টুইটে তিনি লিখেছেন, আগামী প্রজন্মের কাছে এই মিশন হবে অনুকরণীয়।

মিশনের আগে একটি উড়ান চাঁদে পাঠিয়েছিল নাসা। ঠিক যেভাবে এই মহাকাশচারীরা মহাকাশযানে চড়ে চাঁদের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করবেন, ওই ছোট্ট উড়ানটিও ঠিক সে কাজই করে এসেছে। ২৫ দিন চাঁদের কক্ষপথে থাকার পর তা পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। ওই সফল উড়ানের পরেই এদিন নাসা এই বিরাট খবর জানিয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি)