উহান থেকে ফিরলেন যারা
চীনের উহান থেকে ফিরেছেন ৩১২ জন বাংলাদেশি৷ তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আশকোনো হজ ক্যাম্পে৷ এর মধ্যে আটজনকে দুইটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে৷
অপেক্ষা
শনিবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে ৩১২ জন বাংলাদেশিকে নিয়ে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌছায়৷ তাদের নিরাপত্তায় নেয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা৷
তত্ত্বাবধানে সেনাবাহিনী
বিমান বন্দরে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা৷
পর্যবেক্ষণে আইইডিসিআর
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট- আইইডিসিআর- করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ করছে৷
সুরক্ষা ব্যবস্থা
শুধু যাত্রী নয় কোয়ারেন্টাইন প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত ছিলেন তাদের প্রত্যেকেরই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা৷
স্বাস্থ্য পরীক্ষা
দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাত্রীদের সবাইকে পরীক্ষা করা হয়৷ সিভিল এভিয়েশনের বিশেষ ব্যবস্থায় বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালের গেট দিয়ে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়৷
আটটি বাস
উহান ফেরতদের পরিবহনে বিআরটিসির আটটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস এবং কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স এনে রাখা হয়৷ যাত্রীদের মালামাল নেওয়ার জন্য আনা হয় চারটি ট্রাক৷
আশকোনার পথে
বিআরটিসির বাসে করেই আশকোনায় ‘কোয়ারেন্টাইনে’ নিয়ে যাওয়া হয় তাদের৷
আছে শিশুরাও
উহান থেকে ফেরত ৩১২ জনের মধ্যে মধ্যে ২৯৭ জন পূর্ণবয়স্ক, ১২ জনের বয়স এক বছরের ওপরে ৷ তিনজনের বয়স এক বছরের নীচে৷
আসতে পারেননি চারজন
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা.আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রথমে ৩৬১ জনের আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৩১৬ আসবে বলে ঠিক হয়৷ এরা বিমানবন্দরে আসার পর চারজন আসে নাই৷ সেখানে থার্মাল স্ক্যানারের ভেতর দিয়ে যখন এসেছে তখন তাদের গায়ে জ্বর আছে বলে জানা গেছে৷ অবজারভেশনের জন্য তাদের বলা হয়েছে এই ফ্লাইটে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে যাওয়া ঠিক হবে না৷’’
আটজন হাসপাতালে
বিমানবন্দর থেকে আটজনকে দুটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে৷ ডা. আবুল কালাম আজাদ জানান, ‘‘তাদের মধ্যে তিনজনের ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মতো জ্বর আছে৷ বাকিদের শরীরেও জ্বর থাকায় তাদের এখানে না এনে সরাসরি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে এখনই সন্দেহ করা হচ্ছে না৷’’ অসুস্থদের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে সামরিক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল৷
আশকোনায় যেসব ব্যবস্থা
আশকোনা হাজী ক্যাম্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘তিন তলার ৪টি ডরমেটরিতে ৩৬১ জনকে রাখা হবে৷ প্রতিটি ডরমেটরিতে ১০০ জনের থাকার ব্যবস্থা করা হবে৷ সেখানে বিছানা, চাদর, বালিশ, মশারি, মেডিসিন, পানি, লাইট, টয়লেট থাকবে৷ সকাল ও বিকেলের নাস্তাসহ ৫ বেলা খাবারের ব্যবস্থা থাকবে৷ শিশু ও নারীদের জন্যও থাকবে আলাদা খাবার ও থাকার ব্যবস্থা৷’’