1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজতুরস্ক

উত্তর সিরিয়া এবং ইরাকে তুরস্কের হামলা

২১ নভেম্বর ২০২২

বোমারু বিমান নিয়ে এই দুই অঞ্চলে কুর্দিদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। আহত বহু।

https://p.dw.com/p/4JoR4
তুরস্কের হামলা
ছবি: Eren Bozkurt/AA/picture alliance

তুরস্ক সব মিলিয়ে ২৫টি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে দেশের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। উত্তর সিরিয়া এবং ইরাকের একাধিক জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে। উত্তর সিরিয়ায় সরকারি সামরিক পোস্ট এবং ইরাকে কুর্দিদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা হয়েছে বলে তুরস্ক দাবি করেছে। গত সপ্তাহেই তুরস্কে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তারই জেরে এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে।

সিরিয়ার কোবান এবং অ্যালেপ্পো অঞ্চলে শাসন ক্ষমতা দখল করেছে কুর্দিদের নেতৃত্বে সিরিয়ার গণতন্ত্রপন্থি বাহিনী। তাদের নাম সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এসডিএফ)। তুরস্ক এই সরকারকে মানে না। কুর্দিদের বিরুদ্ধেও তুরস্কের লড়াই দীর্ঘদিনের। নিরপেক্ষ মানবাধিকার সংস্থাগুলির দাবি, এদিনের হামলায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। বহু মানুষ নিখোঁজ। আহতদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিন্তু এসডিএফ-এর বক্তব্য, ঘটনায় বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। বস্তুত, তারা সকলেই এসডিএফ-এর সেনা বলে দাবি করা হয়েছে। সিরিয়ার জাতীয় মিডিয়া আগে জানিয়েছিল, তিনজন সেনার মৃত্যু হয়েছে।

কুর্দ যোদ্ধাদের তরফে আবার জানানো হয়েছে, ৩২ জন পিকেকে যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। বহু যোদ্ধা আহত বলেও দাবি কার হয়েছে।

এদিকে তুরস্ক জানিয়েছে, কুর্দিরা যে সমস্ত এলাকা থেকে হামলা চালাতো, সেই কাঠামোগুলি ধ্বংস করা হয়েছে। বস্তুত, গত সপ্তাহেই ইস্তামবুলে বিস্ফোরণ হয়েছিল। তুরস্কের দাবি, ওই বিস্ফোরণের পিছনে কুর্দি যোদ্ধাদের হাত ছিল। তারপরেই এই বিমান হামলার ঘটনা ঘটে।

এসডিএএফ-এর দাবি, অন্তত দুইটি গ্রামে তুরস্ক হামলা চালিয়েছে। সেখানে উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। হামলার পর সেখানে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)