ইয়েমেনের শহরটি যেন এখন মৃত্যুপুরী
তিন বছর ধরে যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে৷ চলছে মৃত্যুর মিছিল৷ গুলি, বোমায় মৃত্যু, অনাহারে থেকে থেকে মৃত্যু, বিনা চিকিৎসায় ভুগে ভুগে মৃত্যু৷ যারা বেঁচে আছে আতঙ্কের সঙ্গেই তাদের নিত্য বসবাস৷ মানুষ এখন মৃত্যু এড়াতে ছুটছে...
জীবনে যুদ্ধ, খেলাতেও যুদ্ধ
এই কিশোরীর হাতে কিন্তু খেলনা বন্দুক! হোদাইদায় শিশু-কিশোররা এখন জেগে যুদ্ধ দেখে, স্বপ্নেও বোধহয় যুদ্ধই দেখে৷ প্রাণ হাতে নিয়ে যখন সবাই শহর ছেড়ে পালাচ্ছে এই কিশোরী কিন্তু খেলনা বন্দুকটি সঙ্গে নিতে ভোলেনি!
আতঙ্কগ্রস্ত মা-মেয়ে
সম্প্রতি ইয়েমেনের বন্দর নগর হোদাইদায় জোরদার হামলা চালায় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট৷ গৃহহারা হয় অনেক মানুষ৷ ছবির এই মা-মেয়েও এখন ঘরছাড়া৷ হোদাইদার এক স্কুলই তাদের অস্থায় ঘর৷
ক্লান্তিতে ঘুম
শহর ছেড়ে পালাচ্ছে হোদাইদার এক গৃহহারা পরিবার৷ যাত্রাপথে গাড়িতেই এক শিশুর ঘুম৷
স্কুলই তার আশ্রয়
বাবা-মা ঘরছাড়া, তাই এই শিশুরও দিন-রাত কাটে স্কুলে৷ স্কুলই তার ক্রীড়াঙ্গন৷
দৃষ্টিতে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
কে জানে এই মা আর শিশুর ভবিষ্যতে কী আছে!
কান্না কে দেখে!
আতঙ্কে, নাকি অনাহারে কাঁদছে স্কুলে আশ্রয় পাওয়া এই শিশু?
দুঃসময়ে সামান্য প্রাপ্তি
যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ নিয়ে এসেছে রেড ক্রস৷ ত্রাণ নিয়ে ঘরে ফিরছেন একজন৷
ক্লাসরুমে খেলাধুলা
খেলার মাঠ আর নিরাপদ নয়৷ তাই স্কুলের ভেতরেই খেলায় মেতেছে দুই কিশোর৷
আশ্রয়প্রার্থীদের ভিড়
হোদাইদার এক স্কুল এখন আশ্রয়শিবির৷ সেখানে আশ্রয় পেতেও নাম,ঠিকানা লেখাতে হয়৷ তাই স্কুলের সামনে নারী-শিশুদের ভিড়৷
অপেক্ষা
শহর ছাড়তে হবে৷ তাই তল্পিতল্পা নিয়ে গাড়ির সামনে অপেক্ষায় কিছু আতঙ্কিত মানুষ৷
মায়ের সুখ
যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের এক আতঙ্কের নগরীতে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন এক মা৷ মায়ের জন্য এর চেয়ে বড় সুখ আর কী হতে পারে!