ইসলাম নিয়ে গাদ্দাফির বক্তব্যে ইটালিতে বিতর্ক
৩১ আগস্ট ২০১০কিন্তু রোমের দু'টি সমাবেশে ধর্ম নিয়েই বেশি আলোচনা করেন তিনি৷ মনে হয়েছে, যেন ধর্ম প্রচারেই রোম সফরে এসেছিলেন গাদ্দাফি৷ দু'টি সমাবেশেই জমায়েত করা হয়েছিল শুধুমাত্র তরুণীদের৷ প্রথমটিতে ৫০০ জন৷ আর দ্বিতীয় সমাবেশে হাজির ছিল ২০০ তরুণী৷ জানা গেছে, নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে এসব তরুণীদের সমাবেশে নিয়ে আসা হয়৷ এমনকি তাদেরকে পরতে বলা হয় রক্ষণশীল পোশাক৷
আর তাদের সামনে বক্তৃতায় গাদ্দাফি বলেন, ‘‘ইসলাম সর্বশেষ ধর্ম এবং আমাদের যদি একক কারো উপর বিশ্বাস রাখতে হয়, তবে তা হতে হবে মুহাম্মদের উপর৷ ইসলামই হওয়া উচিত গোটা ইউরোপের প্রধান ধর্ম৷'' নারীদের প্রসঙ্গে লিবীয় নেতার বক্তব্য, ‘‘পশ্চিমের চেয়ে লিবিয়ায় নারীদের বেশি সম্মান দেওয়া হয় এবং লিবীয় স্বামী খুঁজে নেওয়ার জন্য তাদেরকে সহায়তাও করা হয়৷''
সমাবেশে উপস্থিত তরুণীরা সাংবাদিকদের কাছে গাদ্দাফির এসব বক্তব্য প্রকাশ করার পর শুরু হয়েছে উত্তপ্ত বিতর্ক৷ এমনকি বিরোধী শিবিরে তো বটেই, গাদ্দাফির বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে সরকারি জোটেও৷ জোটের শরিক নর্দার্ন লিগ থেকে নির্বাচিত ইউরোপীয় সাংসদ মারিও বোর্গেজিও বলেন, ‘‘গাদ্দাফির বক্তব্য ইউরোপকে ইসলামিকরণে তাঁর ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্পের বহিঃপ্রকাশ৷'' গাদ্দাফির বক্তব্যকে ইটালির নারীদের মর্যাদার অবমাননা বলে মন্তব্য করেন ইটালির বিরোধী দলীয় সাংসদ এবং সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী রোজি বিন্ডি৷ অবশ্য, সরকারি অতিথির এসব বক্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত বৈঠকের বিষয় বলে পরিস্থিতি কিছুটা হাল্কা করতে চেষ্টা করেছেন সরকারি মুখপাত্র কার্লো জোভানার্দি৷
যাহোক, এসব সমাবেশের বাইরে ইটালির প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বার্লুসকোনিসহ রোমের শীর্ষ ব্যবসায় প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করেন গাদ্দাফি৷ এছাড়া, ইটালি ও লিবিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তৈরি আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন দুই নেতা৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন