1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল সফর শুরু করলেন হিলারি ক্লিন্টন

সঞ্জীব বর্মন৩ মার্চ ২০০৯

মিশরে মধ্যপ্রাচ্য দাতা সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল সফর শুরু করেছেন৷ মঙ্গলবার ইসরায়েল ও বুধবার ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন৷

https://p.dw.com/p/H4Nn
মিশরে দাতা সম্মেলনে হিলারি ক্লিন্টনছবি: AP

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়াকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছিলেন৷ তাঁর বিশেষ দূত জর্জ মিচেল ঐ অঞ্চল সফর করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে হিলারি ক্লিন্টন এই প্রথম ঐ অঞ্চলে এসেছেন৷ মঙ্গলবার ইসরায়েল ও বুধবার তিনি পশ্চিম তীরে আলোচনা চালাবেন৷ সোমবার রাতে জেরুজালেম পৌঁছে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলীদের মধ্যে শান্তির বিষয়টি অত্যন্ত কঠিন ও জটিল৷

মঙ্গলবার ক্লিন্টন ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট শিমন পেরেস ও দেশের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করবেন৷ উল্লেখ্য, ১০ই ফেব্রুয়ারির সংসদ নির্বাচনের পর নেতানিয়াহু এক জোট সরকার গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন৷ ইসরায়েলের ক্ষমতাকেন্দ্রে শূণ্যতার ফলে ক্লিন্টনের পক্ষে এযাত্রায় তেমন কোনো অগ্রগতি ঘটানো সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে না৷ তবে আপাতত তিনি গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের অস্ত্র-বিরতি স্থায়ী করার লক্ষ্য পূরণ করতে চান৷ কিন্তু গাজা থেকে ইসরায়েলের উদ্দেশ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ না হওয়ায় ক্লিন্টন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ মঙ্গলবার ইসরায়েলী নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বিষয়টি তুলে ধরতে চান৷ ক্লিন্টন বলেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে৷

ইসরায়েলের প্রতি মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেও ক্লিন্টন ফিলিস্তিনি প্রশাসনের হাত শক্ত করতে বিপুল অঙ্কের আর্থিক সাহায্যের আয়োজন করেছেন৷ সোমবার মিশরের শার্ম আল শেখের দাতা সম্মেলনে গাজার পুনর্গঠন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল অঙ্কের আর্থিক অঙ্গীকারের কথা শোনা গেছে৷ মার্কিন প্রশাসন আব্বাসের প্রশাসনের জন্য ৯০ কোটি ডলার সাহায্য দিচ্ছে৷ আব্বাসের ফাতাহ গোষ্ঠী প্রতিদ্বন্দ্বী হামাসের সঙ্গে জাতীয় ঐক্য সরকার গড়ার লক্ষ্যে আলোচনা চালাচ্ছে৷ এমনটা সম্ভব হলে মার্কিন প্রশাসন নতুন এই সরকারের প্রতি ঠিক কী ধরণের নীতি গ্রহণ করবে, তা কিছুটা অস্বস্তির বিষয়৷ কারণ সেক্ষেত্রে মার্কিন প্রশাসনকে সরাসরি হামাসের সঙ্গে সংলাপ চালাতে হবে৷ উল্লেখ্য, সোমবার শার্ম আল শেখে দাতা সম্মেলনে মার্কিন প্রশাসন হামাসের প্রতি অত্যন্ত কড়া অবস্থান দেখিয়েছে৷ ঐ সম্মেলনে যে অর্থের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা যাতে কোনো অবস্থায় হামাসের হাতে না যায়, তা নিশ্চিত করতে ওয়াশিংটন প্রবল চাপের সৃষ্টি করেছিল৷ ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিলে, হিংসার পথ থেকে সরে এলে এবং ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলীদের মধ্যে অতীতে স্বাক্ষরিত সব চুক্তি মেনে নিলে তবেই হামাসের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক সম্ভব - বলেছে মার্কিন প্রশাসন৷ অন্যদিকে আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলি গাজায় আরও সীমান্ত চেকপোস্ট খুলে দেওয়ার জন্য ক্লিন্টনের উদ্দেশ্যে ইসরায়েলের উপর চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানিয়েছেন৷