1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বিজাতি সমাধানের পক্ষে বাইডেন

২২ মে ২০২১

ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির পর ‘এটাই একমাত্র সমাধান' বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ পাশাপাশি বিধ্বস্ত গাজা পুনর্গঠনে বড় আকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/3toUV
Palästina | Zerstörtes Gebäude in Gaza
ছবি: Suhaib Salem/REUTERS

দীর্ঘ ১১ দিনের টানা সংঘাতের পর শুক্রবার যুদ্ধবিরতিতে যায় ইসরায়েল সেনাবাহিনী ও ফিলিস্তিনের হামাস৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় শনিবার থেকে পৌঁছাতে শুরু করেছে সাহায্য৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশ্বাস দিয়েছেন, গাজাকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে তিনি সাহায্য করবেন৷

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে বাইডেন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের জন্য বড় আকারের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন৷ তবে এই সাহায্য গাজার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামাসের কাছে নয়, পাঠানো হবে ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীর কর্তৃপক্ষের কাছে৷

গত ১১ দিনের সংঘর্ষে গাজা উপত্যকার বহু বাড়ি ধ্বংস হয়েছে ইসরায়েলি বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায়৷ ইসরায়েলে অব্যাহত রকেট ছোঁড়ে হামাসও৷

ক্ষয়ক্ষতি কতটা, দেখছেন মানুষ

যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হতেই গাজার হাজার হাজার বাসিন্দা ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন ক্ষয়ক্ষতিখোঁজ নিতে৷ তারা ভেঙে পড়া বাড়িঘর, পাড়াপ্রতিবেশীর খোঁজ নেন৷ সাগরের পাশে গিয়ে মৃতদের দাফন করেন৷

সব মিলিয়ে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৪৮জন, যার মধ্যে রয়েছে ৬৬ শিশু৷ আহত হয়েছেন এক হাজার ৯৪৮জন, জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷ মৃতদের মধ্যে অনেকে যোদ্ধাও ছিলেন৷

ইসরায়েলে ১২জন প্রাণ হারিয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে একটি শিশু৷

শুক্রবার থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইসরায়েলে কিন্তু জেরুসালেমে এখনও চলছে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ৷

 বাইডেন যা বললেন

শুক্রবার ইসরায়েলকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন জেরুসালেমে ‘আন্তঃগোষ্ঠী লড়াই' বন্ধ হওয়া উচিত৷

তিনি আরো বলেন, ‘‘ইসরায়েলের নিরাপত্তার প্রশ্নে আমার দায়বদ্ধতার কোনো বদল হবে না৷'' যতক্ষণ না পর্যন্ত ইসরায়েলের অস্তিত্বকে ‘সর্বাত্মকভাবে' এই অঞ্চলে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে না'৷  বাইডেন শুক্রবারের বক্তব্যে বলেন, বর্তমান যুদ্ধবিরতি বজায় থাকুক, তিনি সেই ‘প্রার্থনা' করেন৷

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দ্বিজাতিভিত্তিক সমাধান নিয়ে বহুবছর ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে৷ সবশেষ সংঘাতের পর সমাধানটি নিয়ে আবার নতুন করে কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ৷

এর আগে দ্ব্যর্থহীনভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন দেয়া এবং ফিলিস্তিনিদের অগ্রাহ্য করায় ডনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে মার্কিন নীতি সমালোচনার মুখে পড়ে৷

এসএস/এফএস (ডিপিএ, এএফপি, রয়টার্স)