1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসরায়েল - প্যালেস্টাইন

মারিনা জোয়ারদার৭ নভেম্বর ২০০৬

টানা ছয় দিন আক্রমনের পর ইসরায়েল উত্তর গাজা এলাকার বেত হানুন শহর থেকে তাদের সৈন্যদের সরিয়ে নিল৷ ইসরায়েলী সেনাদের মতে বেত হানুন শহর থেকে রকেট হামলার পর তারা পাল্টা আক্রমন চালায়৷ এই হামলায় মারা গেছে অন্তত ৫০ জন প্যালেস্টাইনী৷

https://p.dw.com/p/DPpZ
ছবি: AP

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে ইসরায়েলী সেনারা বেত হানুন থেকে চলে গেছে৷ ছয় দিনের হামলায় গাড়ী পুড়েছে, ভেঙ্গেছে ঘর বাড়ী৷ আতঙ্কে দিন কাটিয়েছে বেত হানুনের মানুষরা৷ সবাই এখন প্রিয়জনদের কবর দিতে ব্যস্ত৷

ইসরায়েলী সেনারা সরে গেছে সত্যি কিন্তু তারা আশে পাশেই অবস্হান নিয়েছে৷ নতুন করে আক্রমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে কেউ কেউ বলছে৷

গাজার ৪৫ বছর বয়স্ক পুলিশ কর্মকর্তা খালিল ইয়াজি জানান, এরকম ভয়াবহ আক্রমন এর আগে আমরা কখনো দেখিনি৷ তিনি জানান বেত হানুন এখন পুরোপুরি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে৷ প্রতিটি বাড়ী, রাস্তা কোন কিছুই রেহাই পায়নি৷ ইসরায়েলী সেনাদের এই হামলাকে তিনি বেত হানুনের সুনামী বলে আখ্যায়িত করেন৷

ফিলীস্তিনী জঙ্গী দল এবং বেত হানুনের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই হামলায় ৫০ জন মারা গেছে৷ তাদের মধ্যে বেশির ভাগই রয়েছে প্যালেস্টাইনী জঙ্গী এছাড়া একজন ইসরায়েলী সেনাও মারা গেছে বলে জানানো হয়৷

ফিলীস্তিনী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বেশ আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ইসরায়েলী সেনারা একটি শহর ধ্বংস করে তারপর যায় অন্য আরেকটি শহর ধ্বংস করতে৷ আমরা মার্কিন সরকার এবং ইউরোপীয়দের সাথে এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছি৷ তাদের জানিয়েছি এ ধরনের পরিস্হিতীতে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না৷

যদিও ১৪ মাস আগে ইসরায়েলীরা গাজা এলাকা থেকে তাদের বসতি সরিয়ে নিয়েছে কিন্তু গত জুন মাসে ফিলিস্তীনি জঙ্গীরা একজন ইসরেয়েলী সেনাকে অপহরনের পর থেকে ইসরায়েল চালিয়ে যাচ্ছে তাদের আক্রমন৷ অপহৃত ইসরায়েলী সেনাকে এখন পর্যন্ত মুক্তি দেয়া হয়নি৷

এদিকে হামাস সরকার এবং ফাতাহ র জোটে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে মতবিরোধ৷ বর্তমান হামাস সরকরের প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল হানিয়ে এ পদে থাকবেন নাকি অন্য কেউ দায়িত্ব বুঝে নেবেন তা এখনো পরিস্কার করে জানা যায়নি৷ নতুন সরকার দায়িত্ব পেলেই প্যালেস্টাইনে বৈদেশিক সাহায্য পাঠানো হবে বলে প্রকাশ পায়৷

এদিকে জেনেভায় জাতিসংঘের শরণার্থীদের সাহায্য দপ্তর United Nations High Commissioner for Refugees এর প্রধান Jan Egeland যে কোন ধরনের সংঘর্ষে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের বিরোধীতা করেন৷ জেনাভায় আজ থেকে শুরু হয়েছে Convention on Certain Conventional Weapons এর ওপর একটি সম্মেলন৷ এই সম্মেলনে ক্লাস্টার বোমার ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণার আহবান জানানো হয়৷

উল্লেখ্য লেবানন-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েল ৩৫ লক্ষেরও বেশী ক্লাস্টার বোমা ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ৷