1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইসরায়েল

ইসরায়েল ও লেবাননের সমুদ্র-সমঝোতা

১২ অক্টোবর ২০২২

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী লাপিদ জানিয়েছেন, ''ইসরায়েল ও লেবানন সমুদ্র-সীমান্ত চুক্তি নিয়ে একমত হয়েছে।''

https://p.dw.com/p/4I3zR
এই বিতর্কিত জলসীমায় অনেকগুলি গ্যাস ক্ষেত্র আছে।
এই বিতর্কিত জলসীমায় অনেকগুলি গ্যাস ক্ষেত্র আছে। ছবি: Ayal Margolin/picture alliance/Xinhua News Agency

লাপিদের দাবি, ''এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তা জোরদার করবে। ইসরায়েলের অর্থনীতিতে ব্যাপক বিনিয়োগ হবে এবং উত্তরের সীমান্তে স্থিতাবস্থা আসবে।''

২০২০ সাল থেকে অ্যামেরিকা এই চুক্তির জন্য চেষ্টা করছিল। অবশেষে তা হতে চলেছে।

লেবাননের তরফে চুক্তি নিয়ে মূল আলোচনাকারী ছিলেন পার্লামেন্টের স্পিকার ইলিয়াস বউ সাদ। তিনি জানিয়েছেন, লেবানন যা চেয়েছিল, তা চূড়ান্ত খসড়ায় আছে।

লেবাননের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যামেরিকার তরফ থেকে যে চূড়ান্ত প্রস্তাব এসেছে, তা সন্তোষজনক। খুব তাড়াতাড়ি চুক্তির কথা ঘোষণা হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

দুই দেশের নেতা এবার চুক্তিতে সই করবেন।

মার্কিন প্রেোসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এটা অবশ্যই ঐতিহাসিক ঘটনা। লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে তিনি বলেছেন, লেবাননের ক্ষেত্রে নতুন যুগ শুরু হলো। এই চুক্তি থেকে কোনো বিষয় উঠে আসলে, অ্যামেরিকা তার সমাধান করার চেষ্টা করবে।

প্রস্তাবিত চুক্তি নিয়ে যা জানা গেছে

দুই দেশের মধ্যে বিরোধের বড় জায়গা ছিল ক্যারিশ গ্যাস ফিল্ড, যা ভূমধ্যসাগরে বিতর্কিত এলাকায় পড়ে। লেবানন এই বিতর্কিত এলাকার একটা অংশ দাবি করে। কিন্তু ইসরায়েলের দাবি ছিল, এই জলসীমা পুরোপুরি তাদের এলাকা। অ্যামেরিকার তৈরি করা খসড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে, এই জায়গাটা ইসরায়েলের অধিকারে থাকবে। কোয়ানা বলে আরেকটি গ্যাস ফিল্ড, যার বেশিরভাগ অংশ লেবাননে পড়ে, তা দুই দেশ ভাগাভাগি করে নেবে।

রোববার লন্ডন-ভিত্তিক সংস্থা এনার্জিয়ান ক্যারিশ থেকে ইসরায়েলের তটভূমি পর্যন্ত পাইপলাইনের পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে এছাড়া ফরাসি সংস্থা কোয়ানায় গ্যাসের সন্ধান করবে। ভবিষ্যতে এখান যে অর্থ পাওয়া যাবে, তার একটা ভাগ ইসরায়েল পাবে।

হেজবোল্লাহের অবস্থান

হেজবোল্লাহ এর আগে বলেছিল, এই চুক্তি হলেই তারা ইসরায়েলে নাশকতার কাজ শুরু করে দেবে। তবে মঙ্গলবার লেবাননের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হেজবোল্লাহ এই চুক্তি অনুমোদন করেছে।

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)